খবররাজনীতিরাজ্যসর্বশেষ

কয়লার টেন্ডার পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত এক তৃণমূল কর্মী

Paschim Bardhaman : মূলত দীর্ঘদিন ধরে ইসিএল বা ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড এর কয়লার টেন্ডার পাওয়া নিয়ে গন্ডগোল ছিল দুজনের মধ্যে। প্রতিনিয়ত ও তাদের মধ্যে লড়াই লেগে থাকত কিভাবে কয়লা পরিবহনের দায়িত্ব। আর এই লোক দুটি আর কেউ নন। তাঁরা হলেন বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপ্রিয়া এবং জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রুপেশ যাদব। তারা অনেকদিন ধরে একজন অন্যজনের সাথে শত্রুতা করে আসছেন। তবে এবার শত্রুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল এবং খুন হতে হলো একজনকে। (1 TMC supporter killed due to get Eastern Coalfield Ltd. Coal tender in Paschim Bardhaman)

জানা গেল, অন্ডালের তৃণমূল কর্মী ধরমবির নুনিয়া খুন হয়ে গেলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। আর পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। তৃণমূলের মধ্যে যে ভিতরে ভিতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে তা এই ঘটনার পরে সবার সামনে ফাঁস হয়ে গেল। (TMC worker Dharambir Nuniya is murdered in Andal, Khaskhara Bus Stand, Paschim Bardhaman Burdwan)

প্রকৃতপক্ষে বুধবার রাত্রি বেলা এগারোটার দিকে অন্ডালের খাশকারা এলাকাতে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন ধরমবীর। তার সাথে তার দুজন কাছের লোক ছিলেন। জানা গেল এই তিনজনই তৃণমূল দলে কাজ করেন। হঠাৎ ঘটে গেল ছন্দপতন। মোটরসাইকেলে করে দুষ্কৃতীরা এসে ধরমবীরের মাথা টার্গেট করে গুলি ছোড়ে। অন্যদিকে, রড এবং ধারালো অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে অন্য দুই তৃণমূল কর্মীকে মারপিট শুরু করে দেয়।

অবশ্য এই ঘটনা স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়ে যায়। ফলে তারা এই তিনজন ব্যক্তি কে বাঁচানোর জন্য দ্রুত ওই স্থানে চলে আসেন। আর তাদের দেখে আততায়ীরা ওই জায়গা থেকে পলায়ন করেন।

লোকাল লোকজন ওই তিনজনকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ডাক্তাররা ধরমবীর কে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপরদিকে অন্য দুই তৃণমূল কর্মী গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন এবং তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভীষন তৎপরতায় বিদ্যুৎ নুনিয়া এবং আরো 9 ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। (Police arrests Bidyut Nuniya and other 9 )

প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আর তদন্তের শুরুতেই তাদের সামনে আসে যে, জেলা পরিষদের মেম্বার বিষ্ণুপাদ নুনিয়া এবং তার সহকারি এবং জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রুপেশ যাদবের লোকজনের ভেতর বিবাদ চলছিল। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই হত্যাকান্ড ঘটে যায়। ইতিমধ্যে বিষ্ণুপদ বাবু অন্য গ্রুপ রুপেশ যাদবের লোকজনের বিপক্ষে মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণবশত নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে করা হয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখছে স্থানীয় পুলিশ। (A quarrel between Bishnupada Nunia and Rupesh Yadav’s people)

1 TMC supporter killed due to get Coal tender
কয়লার টেন্ডার পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিহত এক তৃণমূল কর্মী (Symbolic photo)

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।