ভোররাতে কানে এলো বিদ্যুৎ চমকানোর মতো শব্দ, দৃশ্য দেখে হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা
ভগ্নপ্রায় অথবা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়া এমন অনেক বহুতল বাড়ি রয়েছে আমাদের ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে। এর আগেও বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। জরাজীর্ণ বাড়ি দেখলেই তার সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ নেন সেখানকার পৌরসভা। এমনই একটি জরাজীর্ণ বাড়ি ছিল মহারাষ্ট্রের ভিবন্দির পটেল কম্পাউন্ড এলাকায়। সেখানে একটি তিনতলা বাড়ি ছিল বেশ জরাজীর্ণ অবস্থায় (An worn out building in Patel compound, Bhiwandi, Maharashtra)।
ভগ্নপ্রায় বাড়িটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের রীতিমত ভয় লাগতো।পৌরসভার তরফ থেকে অনেক দিন আগেই এই বাড়িটিকে বিপদজনক বলে গণ্য করা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির লোকজনের তা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা ছিল না। জরাজীর্ণ বাড়ি হলেও এই বাড়িটিতে লোকসংখ্যার বসতি ছিল বেশ। শেষমেষ বিপদের আশঙ্কা সত্যি হলো। একেবারে তিনতলা বাড়ি ভেঙে পড়লে চোখের নিমেষে। মুহুর্তের মধ্যে প্রাণ হারালেন ১০ জন (10 dead after collapsing of a 3 storied building in Maharashtra)। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছেন আরো ৫০ থেকে ৬০ জন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী,এনডিআরএফ এর দুটি দল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে। তাদের সবাইকে উদ্ধার করছে তারা। এখনো ২৫ জনকে অক্ষত অবস্থায় বার করতে পারা গেছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। তবে এখনো ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছে আরও অনেকে। এনডিআরএফ ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা একটি শিশুকে উদ্ধার করতে পেরেছেন অক্ষত অবস্থায় (NDRF rescues a baby)।
১৯৮৪ সালে নির্মিত এই বিল্ডিঙে মোট ২১ টি পরিবারের। বিল্ডিং এর অবস্থা বেশ কয়েক বছর থেকে খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতা হোক অথবা নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে হোক কেউ বিল্ডিং সারানোর উদ্যোগ নেয়নি। এরমধ্যে পুরসভা থেকে বারবার তাদের সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তাদের কারও টনক নড়েনি।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তারা একটি কানফাটানো আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। তাড়াতাড়ি করে বাইরে এসে তারা দেখতে পান যে একটা আস্ত বিল্ডিং মাটিতে মিশে গেছে। এরপরই সেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। তাড়াতাড়ি ডেকে পাঠানো হয় পুলিশকে।ঘুমের মধ্যে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গেছেন বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী ১০ জন।