লকডাউনে চা বিক্রি শুরু 14 বছরের কিশোরের ! সাহায্যের হাত বাড়ালো ভারতবর্ষ
মুম্বাইতে প্রতিদিন কম করে হাজার খানেক মানুষ তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য এখানে এসে হাজির হয়। তবে করোনা মহামারী সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের প্রচুর মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। আর্থিক একইরকম ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছে মুম্বাইতে বসবাসরত ১৪ বছরের এক কিশোরের। অভাবে পড়ে তাকে রাস্তায় চা বিক্রি করতে হচ্ছে। (Mumbai News : 14 year old kid started selling tea on lockdown! India extended a helping hand)
সূত্র মতে জানা গেল, এই মহামারীর আগমনের পূর্বে তার বাবা হূদরোগে মৃত্যুবরণ করেন। আর তার পরিবারে দিদি বোন এবং মা রয়েছে। অপরদিকে ওই কিশোর জানালো,”বাবার মৃত্যুবরণ করার পর মা প্রত্যেকদিন কাজে যায়। আর এভাবেই আমাদের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছিলো। মার স্বপ্ন হলো আমি যেন বড় হয়ে এয়ারফোর্সের জয়েন করি। আমি ক্লাসে সবসময় ভাল রেজাল্ট করে থাকি। আর একমাত্র পড়াশোনাই আমাকে এবং আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ কে একটা সুনিশ্চিত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে।”
ওই কিশোর আরো জানালো, “কোনমতে আমাদের দিন চলছিল। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটার পর মা চাকরীচ্যুত হয়। ফলে আমাদের দুবেলা খাবার জুটছিল না। ফলে আমাকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে চা বিক্রি করা শুরু করতে হলো। একজন কাকুর সহায়তায় আমি তার দোকানের পাশে চা বানাই। আর এরপর রাস্তাতে বিক্রি করি।”
“আর এভাবেই আমাদের অন্তত খাবার জুটছে। দিনে 100 থেকে দেড়শ টাকা রোজগার হয়। আমি মোটের উপর দুপুর একটা থেকে রাত একটা পর্যন্ত চা বিক্রি করে থাকি। আমার ওকে এই কাজ করতে হচ্ছে দেখে মা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। অপরদিকে সবাই আমাকে চিনে গিয়েছে। তবে আমি চাই বড় হতে পড়াশোনা করতে। আমার ইচ্ছা রয়েছে। জানি না এর পরে কি হবে।”
তবে এই 14 বছরের কিশোরের কষ্টের কাহিনী সামাজিক গণমাধ্যমে ‘হিউম্যান অফ বোম্বে’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা হয়। আর এরপরই হাজার হাজার মানুষ এই কিশোরের পরিবারে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। জনগণ তার লেখাপড়া এবং খাওয়া-দাওয়ার ভার সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছেন। ফলে ওই কিশোরের স্বপ্ন আবার পূরণ হবে এবং সে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে। আর এই ভাবেই একজন মানুষের সাহায্যে অন্য মানুষেরা এগিয়ে আসার ফলে জীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসে। (A Facebook page ‘Human of Bombay’ shares the sad story and photo of the 14 years old kid)
