হিন্দু-মুসলিমের কারিগরী মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের ২১০০ কেজির ঘন্টা
অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) ২১০০ কেজির ওজনের বিশাল ঘন্টা নজির গড়েছে সর্বধর্ম সমন্বয় গড়ে তোলার। রাম মন্দিরের বিশালাকারের ঘন্টা তৈরীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দাউ দয়াল নামে এক ঘন্টা প্রস্তুতকারীকে।
উত্তর প্রদেশ এর জলেশ্বরের দাউ দয়াল-এর তৈরি বিভিন্ন আকার আকৃতির ঘন্টা তিরিশ বছর ধরে বিভিন্ন মন্দিরে স্থান পেয়েছে। এবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের ঘন্টা তৈরির দায়িত্ব পাওয়া অভাবনীয় ঘটনা।
দাউ দয়ালের তত্ত্বাবধানে রাম মন্দিরের ঘন্টা তৈরি হলেও ঘন্টার নকশা তৈরি করেছেন ইকবাল মিস্ত্রি। যিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি (2100 kg Ram Mandir ghanta is being made by both hindu and muslim karigors)। এখানে উঠে এসেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। চার প্রজন্ম ধরে ঘন্টা তৈরীর কাজ করে আসছেন দয়াল। তিনি জানান তার কাছে কাজ করা মুসলিম কর্মচারী ভাইয়েরা নকশা ও পালিশ করতে খুবই দক্ষ। এই প্রথম তারা এত বড় ঘন্টা তৈরীর দায়িত্ব পেয়েছে। তবে এত বড় ঘন্টা তৈরীর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হতে পারে। তবে রাম মন্দিরের ঘন্টা তৈরি করার বিষয়ে তারা খুবই উচ্ছ্বসিত।
কারিগরেরা জানান ঘন্টা তৈরীর সময় ধাতু গলানো ও আকার দেওয়ার কাজ সঠিক সময়ে নাহলে সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে ভাগে ভাগে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তাই প্রথম পর্যায়ে সম্পূর্ণ ঘন্টাকে আকার দিতে হয়। রাম মন্দিরের ঘন্টা তৈরি হচ্ছে অষ্টধাতু দিয়ে। সোনা, রূপো, তামা, দস্তা, সিসা, লোহা, টিন, পারদ এই আট ধাতুর সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দিরের বৃহৎ ঘন্টা।
জলেশ্বরের ইটা জেলার পৌরপ্রধান বিকাশ মিত্তাল জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে তারা এই ঘন্টা তৈরি দায়িত্ব পান। ২১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এই অষ্টধাতুর ঘন্টা তৈরিতে। চার মাস ধরে চলছে এই ঘন্টার কাজ তবে অযোধ্যায় পাঠানোর আগে এই ঘন্টার শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ বাকি। মোট ২৫ জন কর্মী গত ৪ মাস ধরে আধঘন্টা করে কাজ করেছেন এই ঘন্টা তৈরি করার জন্য। এর আগে কেদারনাথ মন্দিরের ১০১ কেজির ঘণ্টা তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন দাউ দয়াল।