দেশসর্বশেষ

নতুন করে ৪৫ কাশ্মীরি যুবক ঢুকে গেলো জঙ্গী দলে

এই মুহূর্তে ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF) ক্রমাগত জঙ্গী সংগঠনের ফান্ডিং এর বিরুদ্ধে কড়া নজর রেখে চলেছে। কিন্তু এত প্রটেকশনের পরেও জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনারা তাদের কুকর্ম করে চলেছে। আপনারা অনেকেই জানেন যে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন গুলির মধ্যে অন্যতম হলো জইশ এ মোহাম্মদ (Jaish E Muhammad)। আর এই জঙ্গি সংগঠন গত এক বছরে কাশ্মীরের ৪৫ জন যুবক কে প্ররোচনা দিয়ে তাদের দলে ঢুকিয়েছে (45 young men from kashmir enters into terrorist organisation within one year)।

পরিসংখ্যান অনুসারে, গতবছরের 14 ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা ঘটনার পর কাশ্মীরের দক্ষিণ অংশ থেকে বেশি মাত্রায় যুবকেরা হারিয়ে যাচ্ছে। তদন্তকারী উচ্চ পদস্থ অফিসার এর মত অনুসারে, মাত্র দুই বছরে ৮০ জনেরও বেশি যুবক বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর তাদের অধিকাংশই জঙ্গী সংগঠনের নাম লিখিয়েছে। আর এই মুহূর্তে তাদের বিভিন্ন কায়দায় ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আরও জানা গেল, যুবকদেরকে জঙ্গি বানানোর জন্য পুলওয়ামা হামলার আসল জঙ্গী আদিল ডারকে বুরহান ওয়ানির মত শহীদ করে দিচ্ছে।

আপনারা প্রত্যেকেই জানেন যে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। আর এর ফলশ্রুতিতে জঙ্গি সংগঠনগুলো হামলা চালানোর বিভিন্ন ধরনের ছক কষে ফেলেছিল। তবে সুরক্ষা এজেন্সির সেনাবাহিনী এবং কাশ্মীর পুলিশরা ক্রমাগত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এর ফলে ক্রমাগত জঙ্গিরা মারা যাচ্ছেন। আর এই প্রকারে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রকে অসীম সাহসিকতায় ব্যর্থ করে দিচ্ছে ভারত।

কিন্তু ২০১৯ সালের পুলওয়ামা নাশকতার (Pulwama attack in Kashmir, 2019) পরবর্তীকালে কাশ্মীরের প্রত্যন্ত জায়গা থেকে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য যুবকেরা একটু বেশিমাত্রায় আগ্রহী হয়ে পড়েছে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ওই যুবকদের বাবা-মাদের ডেকে নিয়ে এসে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী খুব একটা সফল হয়নি এই ব্যাপারে।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।