সুশান্তের মৃত্যু মামলায় সিবিআই পাঁচটি নতুন তথ্য খুঁজে পেলো

২০২০ সালের জুন মাসের ১৪ তারিখে আমাদের প্রত্যেকের প্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে তার পরিবারসহ অনুরাগীরা ভেঙে পড়েছেন। এই মুহূর্তে সবাই চাইছেন এই মামলায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি লাভ করুক। আর তারা চাইছেন যে আসল সত্যটা উদঘাটিত হোক। তো এই মুহূর্তে সিবিআই এই মামলাটিতে তদন্ত করছে। আর তারা আমাদের সামনে পাঁচটি নতুন তথ্য বের করল (5 New Facts Discovered By CBI In Sushant Singh’s Case)। চলুন আমরা জেনে নেই তথ্যগুলো।

১. প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য
সিবিআই সুশান্তর বাড়িতে ভিজিট করে এসেছে অলরেডি। এরপর তারা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শোয়িক চক্রবর্তীকে (Showik Chakraborty- Brother Of Rhea Chakraborty) জেরা করেছে। এছাড়া যারা সুশান্তের বডি পোস্টমর্টেম করেছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সুশান্ত সম্পর্কে তার বন্ধু, তার জিম পার্টনার এবং রাজনীতিবিদ সুভ্রামানিয়াম স্বামী কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আর এই মন্তব্য গুলির মধ্যে সুশান্ত এবং রিয়া চক্রবর্তী রিলেশনশিপের ব্যাপারটাও এসে যাচ্ছে ।

২. রিয়া, সুশান্তের মাথার মধ্যে অলৌকিক চিন্তাভাবনা ঢুকিয়েছিল
রিয়া চক্রবর্তী এবং সুশান্ত সিং এর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাদের দুজনের রিলেশনশিপ সম্পর্কে মজাদার তথ্য পেশ করল। তার কথা অনুসারে, রিয়া, সুশান্তের মাথার মধ্যে অপার্থিব চিন্তাভাবনা ঢুকিয়ে দিয়েছিল। রিয়া, সুশান্তের কাছে ভগবান, আলোর ঝলকানি ইত্যাদি নিয়ে গল্প বলতো। আর এই বন্ধুটি তার পরিচয় ফাঁস করতে চায়নি সবার কাছে। সে আরো বলেছে যে, রিয়া হয়তোবা কন্ট্রোল করতো সুশান্তের টাকাপয়সা এবং তার ক্যারিয়ারের।

৩. রিয়ার বাবা সুশান্তকে ওষুধ খেতে দিয়েছিল
সুশান্তের এই বন্ধুটি দাবি করছেন যে রিয়ার বাবা সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দিত। একটা সময়ে সুশান্তের ভাইরাল জ্বর হয়েছিল। আর সেই সময়ে রিয়ার বাবা সুশান্তকে ওষুধ দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, রিয়ার বাবা একজন ডাক্তার। তাছাড়া এই ওষুধগুলো নাকি অ্যান্টিবায়োটিক ছিল এবং খুব কড়া ডোজের ছিল। তাছাড়া কিছু কিছু সময় ওই বন্ধুটির নাকি রিয়ার চালচলন দেখে অদ্ভুত লেগেছিল। তবে সেগুলো তার কাছে সেরকম বিপদজনক কিছু বলে মনে হয়নি।

৪. মৃত্যুর দিন দুবাইয়ের ড্রাগ ডিলার তার সাথে দেখা করেছিল
রাজনীতিবিদ সুভ্রামানিয়াম স্বামী সামাজিক গণমাধ্যমে এমন একটি দাবি করেছেন যা শুনে লোকেরা শক খেয়ে গিয়েছে। তার দাবি, সুশান্তের মৃত্যুর দিন দুবাইয়ের ডিলার সুশান্তের সাথে দেখা করেছিল। তিনি এই ড্রাগ ডিলারের নাম করেছেন আয়াশ খান। আর এই ব্যাপারটা তার কাছে একটা বড় প্রশ্ন। তাছাড়া তিনি এই ব্যাপারটির সঙ্গে সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু মামলার তুলনা টেনেছেন। তিনি বলেছেন,” এইমসের ডাক্তাররা পোস্টমর্টেম করার পর সুনন্দার পাকস্থলীতে যা পেয়েছিল সেটাই হচ্ছে আসল প্রমান। কিন্তু এই ব্যাপারটা শ্রীদেবি কিংবা সুশান্তের ক্ষেত্রে করা হলো না।”

৫. রিয়ার দুই বাবা মিলে সুশান্ত কে খুন করেছে বলে গুজব
আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে গিয়েছেন যে, সুনিল শুক্লা হলেন সুশান্তের জিম পার্টনার। তিনি এই ব্যাপারটিতে শকিং কমেন্ট করেছেন। তার কথা অনুযায়ী, রিয়ার বাবা অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং মহেশ ভাট সুশান্ত কে খুন করেছে। সে আরো বলেছে যে, রিয়া সুশান্তকে ওষুধ খেতে দিত। আর এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিল রিয়ার বাবা। এরপর যখন সে তাকে ছেড়ে যায়, ওই বাড়ির কেউ তাকে ওষুধটা খেতে দিয়েছিল।”