দেশসর্বশেষ

গালওয়ানে চীনের 60 সৈন্যের মৃত্যু- বললো আমেরিকার সংবাদপত্রে

বেশ কিছুদিন যাবৎ লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে চলেছে (Collision between India and China in Ladakh Valley)। আর এই গন্ডগোল থামার কোন লক্ষন এখনো পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে এবার এক হইচই ফেলে দেওয়া তথ্য প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র নিউজ উইক। তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হলো, গালওয়ান সংঘর্ষে চীনের সেনাবাহিনীর কর্মীদের মধ্যে প্রায় 60 জনের মৃত্যু হয়ে যেতে পারে।

আপনারা প্রত্যেকেই জানেন যে, গত জুন মাসের 15 তারিখে গালওয়ান সীমান্তে ভারত এবং চীনের জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। আর এই গন্ডগোলে ভারতের কুড়ি জন জওযয়ান শহীদ হন। ভারতের পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা জানানো হলেও চীন তাদের কোন খবর জানায় নি। আর এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংবাদমাধ্যম জানালো যে, এই হতাহতের ঘটনায় চীনের প্রায় 60 জন সেনাবাহিনীর কর্মীর মৃত্যু হতে পারে।

চীন ক্রমাগত আগ্রাসী নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয় চীনকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাব দেয় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির। এর ফলে চীন আরো উগ্র মূর্তি ধারণ করে। বিভিন্ন খবর থেকে জানা গেল, ব্ল্যাক টপ এবং হেলমেট টপ এর চারদিকে চীনের সৈন্য বাহিনীর তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। আর ওই সমস্ত জায়গায় স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে চীনের সৈন্যদের শিবির পরিলক্ষিত হয়েছে।

অপরদিকে চীনের এই কার্যক্রমের খুঁটিনাটি নজর রাখতে ভারতীয় সেনারাও আর বসে নেই। এই মুহূর্তে ফিঙ্গার- ৪ অঞ্চলে চিনা সৈন্যদের দেখা গিয়েছে। ফলে ভারতের পক্ষ থেকে পর্বতের শৃঙ্গ এবং স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটিগুলোতে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে সেস্থানে আলাদা উপকরণ পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সৈন্যরা।

এই মুহূর্তে প্যাংগং হ্রদের তীরের উত্তর পাশে ফিঙ্গার 4 হতে ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত চীন তাদের সৈন্য সাজিয়ে রেখেছে। তবে পর্বতের উঁচু শৃঙ্গ গুলি এখন ভারতের দখলে। ফলে ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঐ উচ্চ শৃঙ্গ গুলো। আর স্বাভাবিকভাবেই চীন এখন দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।

আর চীন কোন মতেই ফিঙ্গার এলাকা থেকে সরতে রাজি নয়। চীনের কথা অনুসারে, ফিঙ্গার-৮ থেকে ফিঙ্গার-৫ এই এলাকাতে ৯৯৯ রাস্তা বানিয়েছিল। তাই তারা ওই অঞ্চল তাদের নিজেদের বলে দাবি করছে।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীন এই সমস্ত কাজের মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। ফলে তারা এলএসি-এর শান্তি এবং স্থিতিশীলতার মতো ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা থাকে তার চুক্তি ভেঙে দিয়েছে। কারণ এই সংঘর্ষের পূর্বে চীনের সৈন্য ফিঙ্গার-৮ এর আগে সিরজেপ ও খুবনার দুর্গে জমায়েত থাকতো।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।