বিনোদনভাইরালসর্বশেষ

রিয়া সুশান্তের জীবনে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই ড্রাগ নিতো- অশোক সারোগী

কয়েকদিন ধরে সিবিআই অফিসার রা রিয়া চক্রবর্তী কে ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে (CBI is Investigating Rhea Chakraborty Continuously )। তবে এই মুহূর্তে কেউ রিয়া চক্রবর্তীর পাশে নেই। কারণ প্রত্যেকেই ধারণা করছে যে সুশান্তের মৃত্যুতে রিয়া চক্রবর্তীর হাত রয়েছে। তবে এই মুহুর্তে একজন লোক রিয়া চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়ালেন। তিনি হলেন সুশান্তের আগের ম্যানেজার শ্রুতি মোদি। তো চলুন ঘটনা টা পুরোটা জেনে নেই।

শ্রুতি মোদি ইডির সামনে দাঁড়ালেন (Sruti Modi Backs Rhea Chakraborty)। আর তিনি উকিল অশোক সারোগীর কাজ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন। তো অশোক সারোগী সুশান্ত সিং রাজপুত সম্পর্কে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তার মতে, রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তের জীবনে প্রবেশের অনেক আগে থেকেই সুশান্ত ড্রাগ নিতেন (According to Ashok Saraogi, Sushant Singh Rajput Consumes Drugs Before Rhea Chakraborty’s entrance to his life )। চলুন অশোকের নিজের কথা থেকেই জেনে নেই।

অশোক বাবু বললেন,”রিয়া আসার পর থেকেই যে সুশান্ত ড্রাগ নিচ্ছে এটা বলা মোটেও ঠিক নয়। তিনি তার জীবনে রিয়া প্রবেশ করার অনেক আগে থেকেই ড্রাগ নিয়ে আসছেন।” তাছাড়া সুশান্তের আগে ড্রাইভার এবং বডিগার্ড সোহেল সাগর সুশান্তকে ড্রাগ এনে দিত বলে বললেন অশোক বাবু। অশোক বাবুর মতে, সোহেল সুশান্তকে দুবার সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি চালিয়েছে। আর সুশান্তের ড্রাগ নেওয়ার কথা সুশান্তের পরিবারের না জানাটা অসম্ভব ব্যাপার।

তিনি আরো জানালেন,” সোহেল এবং কেশব এবং আরো দুজন বন্ধু আয়ুষ শর্মা এবং আনন্দি একই সাথে কাজ করতো। তারা সুশান্তর বাড়িতে মাঝেমাঝে থাকত এবং একইসাথে ড্রাগ নিতো। সুশান্তর বাড়িতে অনেকগুলো পার্টি হয়েছে যেখানে তার দিদিরা ছিলো। অথচ সেখানেও ড্রাগ নেওয়া হয়েছিল।”

সারোগী বাবু আরো বললেন,”রাজপুত এবং রিয়া মিলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সেখানে দুজনেই ছিলেন আর তাদের সাথে সোহেল এবং তারেক ম্যানেজার যারা ড্রাগ গুলো সরবরাহ করতো এবং একটা ড্রাগের নাম দিয়েছে AK 47. এই ড্রাগটার নাম অনেকবার মেনশন করা হয়েছে। আর ওই গ্রুপে যারা ছিল তাদের পক্ষে ড্রাগ ব্যবহার না করা অসম্ভব। এই গ্রুপের প্রত্যেকে ড্রাগ সম্পর্কে জানত এবং ড্রাগ নিয়ে থাকতো।”

এরপর অশোকবাবু আরো জানালেন,” এই বছরের জানুয়ারি মাসের দিকে একটা কোম্পানি সুশান্তকে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানাতে চেয়েছিল। তবে সেই মুহূর্তে সুশান্ত শহরে ছিলেন না। তাই তিনি তাঁর একটি পুরনো ফটো ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে কন্ট্রাক্টের টাকা অর্ধেক করে দিলেও কোনো সমস্যা নেই। পরবর্তীকালে যখন তিনি মুম্বাইতে ফিরে আসেন তখন ওই কোম্পানি তার সঙ্গে করা কন্ট্রাক্ট বাতিল করে দেয়। কারণ তারা ভেবেছিল যে সুশান্ত সেই মুহূর্তে মানসিকভাবে সুস্থিতিশীল অবস্থাতে নেই।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।