ঘোর দুর্গতি রিয়ার কপালে ! বাড়ি থেকে উদ্ধার দেড় কিলো চরস, হতে পারে 10 বছরের জেল
সুশান্তের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভারতবর্ষে। প্রথমে মুম্বাই পুলিশ, তারপর বিহার পুলিশের হাতে চলে যায় তদন্তভার।পরে জনগণের একান্ত আবেদন সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত বানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করছেন এনসিবি এবং ইডি। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত খতিয়ে দেখার জন্য তারা আবার প্রথম থেকে তদন্ত শুরু করেছিলেন, যার ফলে উঠে আসে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ধরেছে মাদকচক্রের বিষয়। ইতিমধ্যেই মাদক চক্রে জড়িত থাকার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাইকে।

এর মধ্যেই আবার উঠে গেল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনসিবি বারবার জানিয়েছেন যে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সম্পূর্ণ মাদকচক্রের বিষয়টি তদন্ত করছেন। সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত করছে সিবিআই। সম্প্রতি মাদক চক্রে জড়িত থাকার কারণে ডেকে পাঠানো হয়েছে দীপিকা পাডুকন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর এবং দিয়া মির্জা কে। এর মধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা গেলেও দেড় কিলো চরস। এই অপরাধে জড়িত থাকার কারণে রিয়া এবং তার ভাইয়ের ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে (365 Reporter Bangla Bollywood News : actress Rhea Chakraborty and her brother Showik may end up 10 years jail as 10 kg charas recovered from her house)।
ইতিমধ্যেই জানা গেছে যে, সুশান্তের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বেড়াতে গিয়েছিলেন সারা আলি খান। এছাড়াও সুশান্তর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার (Rumors about Sushant Singh Rajput and Sara Ali Khan Relationship)। তাছাড়া শ্রদ্ধা কাপুর জানিয়েছেন যে, তিনি নিজে দেখেছেন যে সিনেমার শুটিংয়ে মাদক সেবন করতে সুশান্ত। রিয়া চক্রবর্তী সম্প্রতি তার জামিনের আবেদনের লিখেছেন, “যদি সুশান্ত বেঁচে থাকত, তার কিন্তু জেল হত। সুশান্ত আমাকে দিয়ে মাদক নিয়ে আসতো। আমি মাদকসেবন কখনই করতাম না, কিন্তু সুশান্ত প্রতিদিন মাদক সেবন করত। ও আমাকে এবং আমার ভাইকে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার করেছে।”
এদিকে এনসিবির জেরার মুখে পড়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন দীপিকা পাডুকন। বারবার তার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। যথাসাধ্যভাবে তিনি উত্তর দেবার চেষ্টা করেছেন। দীপিকা পাডুকোন এর সঙ্গে রনবীর সিং কে অফিসে থাকার জন্য মানা করেছিলেন এনসিবির কর্মকর্তারা।
এদিকে সারা আলি খানের ওপর বেজায় চটেছেন তার বাবা সাইফ আলি খান। ইতিমধ্যেই মেয়েকে নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়েছেন সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং। কারিনা কাপুর এবং তৈমুর কে নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি চলে গেছেন সাইফ আলি খান। সম্ভবত তিনি আগত শিশুর কথা ভেবে এই মুহূর্তে এইসব ব্যাপারে জড়িয়ে যেতে চাইছেন না।
রিয়া চক্রবর্তীর তার থেকে আরো কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীদের নাম প্রকাশে এসেছে, যা এখনো জানায়নি এনসিবি। তবে মাদকচক্র নিয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে যে বেশ কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য (Drug case in Sushant Singh Rajput)।