কলকাতারাজ্যসর্বশেষ

গায়ে হাত, চুমু! কলকাতার ব্যস্ত রাস্তায় রূপান্তরকামীদের শ্লীলতাহানি করলেন পুলিশকর্মী

ফের আরও একবার কলকাতার ব্যস্ত রাস্তায় শ্লীলতাহানি করার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। তবে এবার কোন নারী নয়, একজন রূপান্তরকামী এবং তার বন্ধুদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক জন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। তবে খুব একটা রাত হয়নি তখন, ঘড়িতে বাজে মাত্র রাত আটটা। অফিস ফেরতা মানুষ বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত। এসময় একটি ব্যস্ত রাস্তায় প্রকাশ্যে সকলের সামনে একজন রূপান্তরকামী কে শ্লীলতাহানি করলেন একজন পুলিশ কর্মী।

জানা গিয়েছে যে, সোমবার রাত একটা নাগাদ ওই রূপান্তরকামী এবং তার দুই বান্ধবী দমদম এলাকায় ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই হঠাৎ করে তাদের গাড়ির ওপর চড়াও হয় কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী। গাড়ির খোলা কাচ দিয়ে ওই রূপান্তরকামী মহিলার গায়ে বারবার হাত দেবার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী। প্রথমে বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী একবারের জন্যও থামেননি। বরং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী রূপান্তরকামী দুই বান্ধবীর গায়ে হাত দিতে শুরু করেন। এরপর গাড়িচালক পুলিশকর্মীকে বাধা দেবার চেষ্টা করলে তাকে মারধোর করে হাত ভেঙে দেন ওই পুলিশ কর্মী।

molestation charge upon one of additional traffic police from kolkata

ঘটনাটির বাড়বাড়ন্ত দেখে নির্যাতিতা সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করে লালবাজারে অভিযোগ জানান। খবর দেওয়া হয় বউবাজার থানাতেও।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বউ বাজার থানার পুলিশ কর্মীরা (Police from Bow Bazar thana)। নির্যাতিতার রূপান্তরকামী মহিলার দাবি, ওই পুলিশ কর্মীদের সহকারীরা তাদের জানিয়েছিলেন যে,অভিযুক্ত পুলিশ হলেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এডিশনাল ওসি অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Accused one is an additional OC from Kolkata traffic police named Abhijit Bhattacharjee)। এরপর সকলে মিলে বউবাজার থানায় যান। সেখানে সম্পূর্ণ ঘটনাটির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পশ্চিমবঙ্গ রূপান্তরকামী উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য ওই রূপান্তরকামী মহিলা (A member from West Bengal transgender development board files a complaint)।

শুধুমাত্র ওই পুলিশ কর্মী নয়,অভিযোগ দায়ের করতে প্রথমে অস্বীকার করেন বউ বাজার থানার পুলিশরাও। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর শেষমেষ বউবাজার থানা লিখিত অভিযোগ নেয় ওই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। তবে এখনো এফআইআরের কোন কপি তাদের দেওয়া হয়নি।এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বউ বাজার থানা এবং অভিযুক্ত আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনো বয়ান পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা থেকে আরও একবার প্রমাণিত যে, ব্যস্ত রাস্তাতে সকলের সামনে এভাবেই অনায়াসে শ্লীলতাহানি করা যায়। প্রতিবাদ করার মানুষের সংখ্যা বড্ড কম। পুলিশদের সবসময় তটস্থ থাকা উচিত সাধারণ মানুষদের সেবার্থে। কিন্তু যখন রক্ষকই হয়ে ওঠে ভক্ষক,তখন সাধারণ মানুষের বিনা দ্বিধায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়া হয়ে যায় খুবই কঠিন।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।