ভাইরালরাজনীতিরাজ্যসর্বশেষ

রবীন্দ্রনাথকে যে বহিরাগত বলে, তার মাথায় গন্ডগোল আছে- উপাচার্যকে বললেন অনুব্রত

এই মুহূর্তে এক মন্তব্য নিয়ে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে তুমুল তোলপাড় হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। তো চলুন শুনে নেই ব্যাপারটা আসলে কি ? আসলে কি প্রসঙ্গে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন ? আর এতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কি বললেন (Anubrata Mandal Replies To Visva Bharati VC, Bidyut Chakraborty)?

আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে গিয়েছেন যে, রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Vice Chancellor Bidyut Chakraborty Tells Rabindranath Tagore as an Outsider )। নিজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে নিজেই বহিরাগত ওই কবিগুরু ? স্বাভাবিকভাবেই বিতরকের ঝড় বয়ে চলেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকে বলছেন যে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে রীতিমতো কটুক্তি করেছেন ওই উপাচার্য।

অনেকদিন আগে শান্তিনিকেতনে একটি মেলা হয়েছিল। সেখানে পাঁচিল বানানো নিয়ে একটি গোলমাল শুরু হয়। আর সেখানে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আর সে সময় রবীন্দ্রনাথকে উপাচার্য বহিরাগত বলেন। আর তাই এই বক্তব্যকে কোনোভাবেই বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মানতে পারেননি। তিনি জানালেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে যারা এই ধরনের কথা বলে তাদের মাথায় গন্ডগোল আছে। একমাত্র অসুস্থ এবং পাগলরা এই ধরনের কথা বলে থাকে।”

প্রকৃতপক্ষে উপাচার্য বলেছিলেন,” গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতপক্ষে বাইরের লোক ছিলেন। তা সত্ত্বেও তার শান্তিনিকেতন অঞ্চল খুব পছন্দ হয়ে যায়। আর এর ফলেই বিশ্বভারতী এত উন্নতি লাভ করে। তাছাড়া তার সহকর্মী যারা ছিলেন তারাও প্রত্যেকে বোলপুরের বাইরে থেকে এখানে এসেছিলেন। আর তাদের দ্বারাই বিশ্বভারতীতে জ্ঞান সৃষ্টি এবং বিস্তার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল (Visva Bharati University, Santiniketan)। জ্ঞানের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে এখানে একমাত্র তাদের দ্বারাই।”

আর স্বাভাবিকভাবেই তার এই বিতর্কিত মন্তব্যে ওই স্থানের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীগণ এবং স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এমনকি ঠাকুর পরিবারের এক সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর মন্তব্য করেন। তার কথায়,” এই স্থানের সৃষ্টি কর্তা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর তাকেই বলা হলো বহিরাগত ? কী প্রকারে এরকম বাক্য উপাচার্য প্রয়োগ করতে পারলেন ? আর তাই যদি হয় তাহলে এলাকার লোক কে ?”

এবার এই ব্যাপারে মন্তব্য রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার কথায়,” উপাচার্যের কথাটি পশ্চিম বাংলা তথা ভারত তথা গোটা পৃথিবীর মানুষ শুনে কি রিঅ্যাক্ট করবে সেটাই চিন্তা করছি।” প্রসঙ্গত, রবিবার বোলপুরে তৃণমূল জেলা পার্টি অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই একথা বললেন অনুব্রত। তাছাড়া ওই স্থানে অনেক যুব সম্প্রদায়ের লোকজন তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী।

অনুব্রত আরো বললেন,” অভিষেক ব্যানার্জীর (Abhishek Banerjee) এই প্রচেষ্টাকে আমার পক্ষ থেকে স্বাগত জানালাম।” প্রচুর লোক রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলা শুনে উপাচার্য কে একহাত নিচ্ছেন। অনেকে আবার উপাচার্যের সপক্ষেও রয়েছেন। তারা বলছেন যে, উপাচার্যের কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।