বিনোদনসর্বশেষ

আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সিনেমা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন হল মালিকরা

শিক্ষাব্যবস্থার পরে যদি আর কোন কিছুর উপরে করোনার প্রভাব পড়ে থাকে তাহল বিনোদন জগত। গতবছর করোনার প্রকোপে বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নিউ নরমাল লাইফে ফিরে এলেও অনেকেই আর হলমুখী হননি। তবে হলমুখী না হবার একটা আরো বড় কারণ হল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সিনেমার মুক্তি পাওয়া। তবে এরই মধ্যে যখন আস্তে আস্তে হলগুলি আরো একবার মাথাচাড়া দেবার কথা ভাবছিল, তখন আরো একবার সংক্রমণের ছড়া গ্রাফ সেই ভাবনা চিন্তা কে থামিয়ে দিল। (Entertainment News Bengali: Bengal cinema hall owners decide to close the hall due to corona rise)

সম্প্রতি পরিস্থিতির জেরে বন্ধ হয়ে গেল বেশকিছু সিনেমা হল। সেই তালিকায় রয়েছে মেনোকা, বসুশ্রী, নবীনা, প্রিয়ার মত হল। মুম্বাইতে কোন বড় রিলিজ নেই। যে কারণে আস্তে আস্তে বন্ধ করার পথেই হাঁটতে চলেছে হল মালিকরা।

গতবছর আল্লাহ পর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে 50% দর্শক নিয়ে খুলবে হল। কিন্তু বড় বাজেটের হলিউড ছবি দেখার জন্য ভিড় জমল না হলে। হিন্দি ছবি সেভাবে রিলিজ হচ্ছিল না। বেশিরভাগ নির্মাতা পুরনো ছবি রিলিজের দিকে হাটছেন। কিন্তু তাতেও সেই ভাবে লাভ হল না কিছু।

এরপর 100% দর্শক আসন নিয়ে হল খোলার অনুমতি এসেছিল কেন্দ্র থেকে। সিনেমা নির্মাতারা ভেবেছিলেন যে এবার হয়তো পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে। বড় বাজেটের ছবি মুক্তির তারিখ দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশকিছু রাজ্যে যেভাবে করণা সংক্রমণে আরো বেশি বেড়ে গেল, তাতে করে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুটিং।

শুটিং লোকেশন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। এছাড়াও বহু তারকারাও আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন করণাতে। ফলে শুটিং স্থগিত করে দিতে হচ্ছে। তারিখ ঠিক হয়ে যাবার পরেও পিছিয়ে যাচ্ছে ছবি মুক্তির তারিখ। সূর্যবংশী, থালাইভির মতো ছবি মুক্তি পিছিয়ে গেছে। গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি কে ও টি টি তে রিলিজ করার কথা ভেবেছেন সঞ্জয় লীলা বানসালি।

এই পরিস্থিতিতে অবশেষে কলকাতা তথা রাজ্যের সিনেমা মালিকরা ঠিক করেন যে তারা হল বন্ধ করে দেবেন। বড় বাজেটের হিন্দি সিনেমা যেভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে ঘরের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই ২৩ এপ্রিল থেকে বন্ধ করা হচ্ছে রাজ্যে একাধিক সিঙ্গেল স্ক্রীন হল। নবীন আর মালিক নবীন চোখানি সম্প্রতি কথা বললেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। তিনি জানালেন যে, কর্মী এবং দর্শকদের কথা মাথায় রেখে আমরা কয়েকদিনের জন্য সাসপেন্ড করছি। যেভাবে মহামারী ছাড়িয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে, তাতে করে এটি করা উচিত ছিল বলে মনে হচ্ছে আমাদের। মুম্বাইতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ মরে যাচ্ছে। এই সময়ে সিনেমা দেখতে আসা নেহাতই বাতুলতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে আমরা বন্ধ রাখছি সিনেমা হল।

bengal cinema hall owners decide to close the hall due to corona rise
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সিনেমা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন হল মালিকরা