অর্ধেক চালে ভারতের পতাকা অঙ্কন করে সাড়া ফেলে দিলেন বাঙালি মেয়ে
উপরওয়ালা আমাদেরকে অনেকগুলো দক্ষতা স্বাভাবিকভাবেই দিয়ে দিয়েছেন। আর এই স্বাভাবিক দক্ষতা গুলির মাধ্যমে আমরা নিজেদের ভাব প্রকাশ করে থাকি। আর এর অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। এরমধ্যে অংকন বা শিল্পকর্ম একটি মাধ্যম। অনেকেই আছেন যারা নিখুঁত অংকন এর মাধ্যমে নিজেকে কী ভাবছেন তা সবার সামনে তুলে ধরেন।
কিছুদিন পূর্বে ছোলার ডালের উপর কবিগুরুর ছবি অঙ্কন করেন পশ্চিমবঙ্গের এক মেয়ে। ফলে এই বাঙালি মেয়েটির নাম ইন্টার্নেশনাল জার্নাল অফ বুক (International Journal Of Book) এবং ইন্ডিয়া জার্নাল বুকে (India Journal Book) উঠে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এটি আমাদের পক্ষে একটা গর্বের বিষয়।
তো ঠিক এরকমই আরেকটি ঘটনা আবার ঘটে গেল। এবার ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে চালের উপর নিখুঁতভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা একে ফেললেন। আর স্বাভাবিক ভাবেই তিনি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যান। আর এই মেয়েটির নাম অমৃতা নায়েক (Amrita Nayak Sketches Indian National Flag In A Half Rice)। আর সেই শিল্পীর বাড়ি কাঁথিতে (Amrita Nayak- Contai,Purba Medinipur, WB News)।
প্রকৃতপক্ষে মেয়েটি কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর খাসদা গ্রামে বসবাস করেন। আরও জানা গিয়েছে যে তিনি কলকাতার বিড়লা একাডেমি আর্ট এন্ড কালচার(Birla Academy Of Art And Culture- Amrita Nayak) এ পড়াশোনা করেন।
ছোট থেকেই তিনি সবসময় ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। সর্বক্ষণ তিনি শুধু নতুন কিছু সৃষ্টির আশায় ঘুরে বেড়ান। তার ভবিষ্যত উদ্দেশ্য হলো আরো অনেক অনেক সৃষ্টি করা। আর এভাবেই সে বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে।
তবে একটা কথা বলতেই হবে যে, সে কি কারণে চালের উপর এই ধরনের শিল্প কর্ম করার কথা চিন্তা ভাবনায় আনলো? অমৃতার কোথায়,বর্তমানে করোনা মহামারীর জন্য অনেক মানুষ জীবিকা হীন হয়ে পড়েছেন। তারা খেতে পারছেন না। অনেকক্ষেত্রে না খেয়েই কাটাতে হচ্ছে লোকজনকে। আর এই ছবিটির মাধ্যমে সে মূলত একটি প্রতীকী ভাষা দিয়ে দিয়েছে। আর তা হল, সে সকল মানুষকে আহ্বান করেছে। যাতে করে যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারা অন্যদের পাশে দাঁড়ায়। আর বিপদে-আপদে তাদেরকে সাহায্য করে।
তার এই অলৌকিক প্রতিভার জেরে পশ্চিমবাংলার সবাই তাকে আপন করে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আসার পরপরই প্রচুর লোকে দেখি নিয়েছে ভিডিওটি (Amrita Nayak Chaler opor Indiar Pataka eke viralholen)। আর প্রত্যেকে চাইছেন পরবর্তীকালে সে যেন আরো বড় হয়।