করাচিতে বাধলো সংঘর্ষ। এবার পাকিস্তানের শুরু হবে গৃহযুদ্ধ ?

পাকিস্তান মনে হচ্ছে ক্রমশই এগোচ্ছে গৃহযুদ্ধের দিকে, এমনই কিছু তথ্য মিলেছে পুলিশের সঙ্গে পাক রেঞ্জার্স দের লড়াইয়ের উপর ভিত্তি করে। জানা যায় যে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাইকে গ্রেফতার করার জন্য বাধ্য করা হয় এবং এতটাই বাধ্য করা হয় যে এর জন্য সিন্ধু প্রদেশের পুলিশের প্রধানকে দেশের আধা সেনাবাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায়। (Clash breaks out in Karachi so civil war may start in Pakistan)

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এই অপহরণের বিষয়ে সমস্ত রকম তদন্ত করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন।

যেভাবে একজন সিন্ধু পুলিশকে অপহরণ করা হয়েছে, তার জন্য নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সকল জায়গায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে অন্যান্য পুলিশরা একটি গণ ছুটির আবেদন করেছেন।

এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করাচিতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দলের সাথে সংঘর্ষ তৈরি হয়। জানা যায় এই সংঘর্ষের ফলে করাচিতে অবস্থিত একটি বহুতল বিল্ডিংয়ে ব্লাস্ট হয়।

ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড এর পক্ষ থেকে বলা হয় যে করাচি প্রদেশের অফিসারদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার সংঘর্ষ বাঁধে এবং এই সংঘর্ষের ফলে প্রায় ১০ জন পুলিশ কর্মী মারা যান।

পুলিস প্রধান অপহরণের বাদে যে ছুটি নেওয়া হচ্ছিল সেই ছুটি জাতীয় স্বার্থের রক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে দেয় সিন্ধু পুলিশের আইজি মুস্তাক মেহর।

পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দলগুলি মিছিল করতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তাদের মতে পুরান খান পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা কে সঠিকভাবে তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জানা যায় নাকি এরপরে তো নওয়াজ শরিফের জামাই এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগের নেতা মুহম্মদ সফদর কে হাজতে নেওয়া হয়। অভিযোগ করা হয় যে জোর করে পুলিশের থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার নির্দেশে সই করিয়ে নেওয়া হয়, এই সই করে নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন আধাসেনা রেঞ্জার্স। তবে পরবর্তীকালে জামিন পেয়ে যায় নওয়াজ শরিফের জামাই।

এমন একটি নৃশংস ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তের সত্বর পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে সকলে।

ইমরান খান এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে পুলিশ এবং সেনার মধ্যে যেরকম সংঘর্ষ বেধে গেল সেটা অবশ্যই একটি চিন্তার বিষয় বলেই বলা যায়। এই রকম ঘটনা ঘটার ফলে পুলিশ বাহিনীর মনের বল অনেকাংশেই ভেঙে গিয়েছে।