স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার একবালপুরের তরুণী খুনের ঘটনাতে, জেরায় দোষ স্বীকার
একবালপুর এ ঘটা তরুনীর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করল এক দম্পতি কে। রবিবার ভোর রাতে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে শেখ সাজিদ ওরফে রোহিতকে এবং তার কিছুক্ষণ পরই গ্রেপ্তার হয় অঞ্জুম বেগম অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী। শেখ সাজিদ এর বয়স ৩০ বছর এবং তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগম -এর বয়স ২৬ বছর। (Crime News from MS Ali Lane, Near Ekbalpur, West Bengal : Couple are arrested for Ekbalpur murder of the young girl)
গত বুধবার রাতে উদ্ধার হয়েছিল তরুণীর মৃতদেহ। সাদা চটের বস্তায় ভরা মৃতদেহটি পাওয়া গিয়েছিল একবালপুর থানার অন্তর্গত এমএম আলি লেন থেকে। মৃতের নাম জানা গিয়েছিল সাবা খাতুন ওরফে নয়না। তার বয়স ২২ বছর। ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর গলায় ফাঁস এর দাগ দেখা গিয়েছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল তরুণীটিকে খুন করা হয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে। পুলিশ তদন্তে নামাজ শুরু থেকেই উঠে এসেছিল সাজিদের নাম।
কলকাতা পুলিশের এক অফিসার নাম গোপন রাখার শর্তে ঘিরে জানিয়েছেন সবার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে সবার সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল এবং এই ঝামেলাকে কেন্দ্র করেই আমাকে খুন করে সাজিদ। জেরার কবলে পড়ে নিজের দোষ স্বীকার করে সাজিদ এর স্ত্রী ও। তদন্তকারী অফিসারদের অঞ্জুম অবশেষে জানায় যে সে সাবার মৃতদেহ কে ফেলতে সাজিদ কে সাহায্য করেছিল।
তদন্ত থেকে সাবার বিষয়ে কিছু তথ্য উঠে এসেছিল। ছোটবেলাতেই নাকি সাবার বাবা-মা মারা যান। তারপর থেকেই সে দিদিমার কাছে মানুষ হয়। যদিও জানা গেছে বিগত বেশ কিছু মাস ধরে সে এক অন্য তরুণের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। তার পরিবারের মানুষজনদের থেকে জানা গেছে সাবা নাকি মাদক সিক্ত ছিল। তদন্ত থেকে জানা যায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সাভার ফোনে একটি ফোন আসে এবং তৎক্ষনাত সে ওই বান্ধবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর বাড়ি না ফেরায় তার সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে দেখা যায় সেটি কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ তাঁর বেরোনোর পর থেকে তার সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং এরপর উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি তার মৃতদেহ। সূত্র থেকে জানা গেছে সাবা যে বান্ধবীর বাড়িতে থাকতো সেই বান্ধবী এবং তার মা নাকি মাদকদ্রব্য নিয়ে ব্যবসা করেন। পুলিশ সেই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে।
