রাজনীতিসর্বশেষ

“ভাগ এখান থেকে! না হলে ঠুকে দেবো!”-পাকিস্তানকে এক হাত নিলেন ইন্ডিয়ান এই মেজর

আগে যখন আর্মিতে কর্মরত ছিলেন তখন বর্ডারে গিয়ে জিহাদি লোকদেরকে আচ্ছামতো ঠুকে দিতেন। আর এখন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তাদেরকে উদোম দিচ্ছেন। আর ইন্ডিয়ান আর্মির এই মেজরের নাম মেজর গৌরভ আর্য। চলুন আমরাও দেখে নেই সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি।

তো সোমবার সকাল বেলায় সেনাবাহিনী থেকে রিটায়ার হওয়া গৌরভ আর্য অন্যান্য দুজন প্রাক্তন সেনা কর্মীর সঙ্গে টুইটার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর পরবর্তীকালে এটি খুব খারাপ দিকে মোড় নেয়। তাই সাধারণ জনগণ আর্যের এই বাজে ভাষা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি তিনি এরকম খারাপ ভাষা বলে কিভাবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন তা নিয়ে গালমন্দ করেছেন লোকজন।

মেজর আর্য অল্প সময়ের জন্য ভারতীয় আর্মি তে কাজ করেছিলেন। তবে ভাগ্যের পরিহাসে ইনজুরি বা চোটের কারণে তাকে ঘরে ফিরে আসতে হয়। চলুন আমরা জেনে নেই ওনার সম্পর্কে বিস্তারিত।

গৌরভ আর্য ইতিহাস বিষয়ে অনার্স করে স্নাতক হয়ে যান। তবে তিনি নিজের থেকেই বলেছেন যে তার অনেক বন্ধু হানসারাজ কলেজে পাঠরত অবস্থায় ছিলেন।তাছাড়া তিনি তার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা সবার কাছে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে একদিন তিনি স্টিফেন থেকে হানসারাজের অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। তাকে হিন্দু কলেজ অতিক্রম করতে হয়েছিলো। আর সেই স্থলেই তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা হয়ে যায় বিখ্যাত অর্ণব গোস্বামীর।

আর্মিতে যোগদান

1993 সালের দিকে আর্য শরট সার্ভিসেস কমিশন্ড অফিসার বা এসএসসি ক্যান্ডিডেট হিসেবে আর্মিতে যোগদান করেন। তার ট্রেনিংও শুরু হওয়ার পরপরই সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়ে নেওয়া হয়। অবশেষে হাজার 994 সালের মার্চ মাসের 5 তারিখে তাকে কুমায়ুন রেজিমেন্টের 17 তম ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত করা হয় বা কমিশন করা হয়।

বরফের নিচে কবর

কথিত আছে যে 1996 সালে যখন তিনি 36 নম্বর সেক্টরে বা সুগার সেক্টরে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কর্মরত ছিলেন তখন তাকে কবর দিয়ে দেওয়া হয় বরফের মধ্যে। এর কয়েক বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে তিনি এক বড়োসড়ো আঘাত পান। ফলে তাকে সেনাবাহিনী থেকে বিদায় নিতে হয়। তখন তিনি ইন্ডিয়ান আর্মিতে মেজর পদাধিকারী ছিলেন।

বুরহান ওয়ানি মৃত্যু এবং গৌরবের টেলিভিশন অভিষেক

2016 সাল নাগাদ আর্য ফেসবুকে একটি ওপেন লেটার বা খোলা চিঠি সবার সামনে তুলে ধরেন। আর তখন হিজবুল সন্ত্রাসী বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর বিপক্ষে চারদিকে বিদ্রোহ চলছিল। এই মেজর সেই বিদ্রোহ কারীদের কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। তিনি এই লেখাটি পূর্বে স্বরাজ্য নামক পত্রিকায় পাবলিশ করেছিলেন। তিনি নিজের ভাষাতেই বলেছিলেন, আমি নিজেই ওপেন লেটার নামে একটি রচনা প্রকাশ করেছিলাম এবং ঘুম দেওয়ার আগে ফেসবুকে সবার সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।

ঘুমানোর পূর্বে আমার সঙ্গে 530 জনের বন্ধুত্ব ছিল ফেসবুকে। যখন জাগলাম তখন দেখতে পেলাম যে ওই পোস্টটিতে 732 টি লাইট ছিল এবং বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট এসেছিল। দুপুরের পর থেকেই অনেক লোক আমাকে কল করেছিল। এরপর বিকাল চারটার দিকে ভারতীয় আর্মির সার্ভিং জেনারেল এর নিকট থেকে অর্থাৎ সেনা দপ্তর জেনারেল থেকে কল আসে। এরপর সংবাদমাধ্যমে আর্য কে কিছু কথা বলার জন্য ডাকা হয়েছিল। টাইমস নাউ নামক এই চ্যানেলে তখন পরিচালনা করছিলেন অর্ণব গোস্বামী।

রিপাবলিক টিভি তে প্রবেশ

অর্ণব গোস্বামী পরিচালিত টাইমস নও সাক্ষাৎকারের পর কিছুদিন তার কাছ থেকে কোন খোঁজ খবর পাননি।পরবর্তীকালে 2017 সালে তাকে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কথা বলার জন্য চ্যানেলটি যোগাযোগ করেছিল। আর্য তখন থেকেই লোকজনের মধ্যে দেশপ্রেম নিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

তো বর্তমানে ফিরে আসি। তিনি একজন শখের সাংবাদিক এবং 24 ঘন্টা পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে চলেছেন। তাছাড়া ভারতবাসীর নিকট তিনি এখন খুবই পপুলার একজন লোক। এর কারণ হিসেবে বলা যায় যে তিনি পাকিস্তানিদের ন্যাশনাল টিভিতে পাকিস্তানিদের এক হাত নিয়ে থাকেন সবসময়। তিনি এমনভাবে পাকিস্তানীদের আক্রমণ করেন যে তারা কোন উত্তর খুঁজে পায় না। তাই ন্যাশনাল টিভিতে পাকিস্তানিদের বিপক্ষে এখন ভারতের অনেক বড় একটা অস্ত্র হলো মেজর গৌরভ আর্য।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।