বাড়ি অব্দি পৌঁছতে পারলোনা নির্যাতিতা, মধ্যরাতে জোর করে পুড়িয়ে দেওয়া হলো তার দেহ

ফের আবার ভারতবর্ষে হলো নির্মম গণধর্ষণ। কুড়ি বছরের একজন তরুনী, মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ফসল কাটতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই চার থেকে পাঁচজন উচ্চবর্ণের ব্যক্তি তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঘটে ঘটনাটি। শুধু ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া হয় না, দলিত কন্যার জিভ কেটে নেয় তারা। (Uttar Pradesh News: Hathras abused girl did not reach home; police burnt the body forcibly at midnight)

HAPPENING NOW — #Hathras rape victim’s body has reached her native village, Boolgarhi in Hathras, where the horrific incident took place. SP, DM, Joint Magistrate all here accompanying the family. My camera person Wakar and I will get you all the updates all through the night pic.twitter.com/VxEWDVVpsU

— Tanushree Pandey (@TanushreePande) September 29, 2020

এতটাই অত্যাচার করা হয় তাকে, অত্যাচারের চোটে শিরদাঁড়া টা ভেঙ্গে যায়। এরপরে রক্ষা পাওয়া যায়নি গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক স্থানীয় হাসপাতালে। এরপর আস্তে আস্তে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লির হাসপাতালে (Victim sent to Delhi Hospital)। সেখানে টানা দুই সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই তরুণী।

কিন্তু এখানেই শেষ হলো না নির্যাতিতার করুণ পরিণতি। সৎকারের সময় জুটলো চরম অপমান এবং অবহেলা। দিল্লি থেকে জবরদস্তি দেহ নিয়ে যায় পুলিশ। মধ্যরাতে বাড়ির অদূরে একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে দাহ করে দেওয়া হয় তার দেহ। সব মিলিয়ে জীবনের শেষ পরিণতি এত করুণ হবে তা হয়তো কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ওই তরুণী।

শুধুমাত্র এই তরুণী নয়, নিঃস-সন্তানহারা পরিবারের উপর অকথ্য জুলুম করেছে পুলিশ। জবরদস্তি ভাই এবং বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। ভাই এবং বাবা তখন দিল্লির হাসপাতালে ধরনা দিতে বসেছিল। কিন্তু কারো কোন কথা শুনতে চায়নি পুলিশ। মায়ের আকুল ডাক কে উপেক্ষা করে বাড়িতে না দিয়ে গ্রামের একটি ধানক্ষেতে পুড়িয়ে দেওয়া তরুণীর মৃতদেহ।

তরুণী এই করুণ পরিণতিতে ইতিমধ্যেই রাজধানীতে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে গেছে (Protest Procession for Hathras Rape case has been started already in Capital Delhi)। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও (#JusticeforManisha)।

জানা গিয়েছে, টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দলিত পরিবারের ওই তরুণীর। কিন্তু তারপর রাত্রি দশটা নাগাদ দেহটি ছেড়ে দেওয়া হলে, পরিবারের কাউকে না জানিয়েই পুলিশ দেহ নিয়ে চলে যায়। এরপর পুলিশকে বাধা দিতে গিয়ে কপালে জোটে জুলুম। সকলকে নিয়ে জোরজবস্তি গ্রামের বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে জ্বালিয়ে দেয়া হয় তরুণীর মৃতদেহ।