খবরজীবনযাত্রাসর্বশেষ

দেখুন চীনের বিপুল সংখ্যক মানুষের করোনা মুক্তির রহস্য

গোটা পৃথিবীতে এখন শাসন করছে ভয়াবহ করোনা রোগ। গোটা বিশ্বের বড় বড় গবেষক চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা করোনা রোগের টিকা বের করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। তবে এসব জটিলতার মাঝেই নতুন করে আলোর পথ দেখাল চীন। সাম্প্রতিককালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচার বিভাগের প্রধান জু লিন বলেন এই অসংখ্য পরিমাণ মানুষের রোগমুক্তির শুধু মাত্র একটাই কারণ। আর সেটি হল, চীনের প্রাচীর ভেষজ চিকিৎসা ব্যবহার করে তারা রোগমুক্ত হয়েছেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী 140 কোটি চীন দেশে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষেরও কম আছে। এটা অবশ্যই তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা স্বস্তির ব্যাপার। তথ্য অনুযায়ী গত মে মাস পর্যন্ত চীনে 83,017 কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে 78,307 জন রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে চলে এসেছে। মৃত্যু হয়েছে 5 হাজারেরও কম। অর্থাৎ প্রায় 95 শতাংশ মানুষ রোগমুক্ত হয়েছেন চিনে। জু লিন আরো বলেন, প্রাচীর ভেষজ চিকিৎসা দ্বারা অসাধ্য সাধন সম্ভবপর হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন হল চীন যদি এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে তাহলে ভারতের পক্ষে কি তা সম্ভব?

শ্যামবাজারের জেবি রায় আয়ুর্বেদিক কলেজের হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সঞ্জীব সামন্ত বলেছেন, চীন দেশে মর্ডান মেডিসিন ও ট্রাডিশনাল মেডিসিন একে অন্যের হাত ধরে চলে। তাই তারা এত সফল্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেই ব্যবস্থা হয়নি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় যে স্বাস্থ্য নীতি তৈরি করা হয়েছিল সেখানে আয়ুর্বেদের কথা বলা ছিল না। তাই সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরনো একটি বিজ্ঞান এ দেশে এখনো অবহেলা করা হচ্ছে।

অবশ্য শহরের নেফ্রলজিস্ট ডাক্তার প্রতিম সেনগুপ্ত চীনের প্রাচীর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, প্রথাগত চীনা ওষুধের যদি করোনা রোগ নিরাময় করতে পারে তাহলে তো ভালোই। কিন্তু সমস্যা হলো চীন একাধিকবার ভুল তথ্য দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাই এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ করা দরকার প্রথমে। এক্ষেত্রে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। আজ অব্দি এখনো জানা যায়নি চীনের 2 লক্ষ মোবাইল গ্রাহক কি হাওয়ায় উড়ে চলে গেলেন।

এছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম এর সভাপতি ডা: দাশগুপ্তও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসায় এজিথ্রোমাইসিন, হাইড্রোক্লোরিক ওষুধের নাম বারবার প্রচার করা হচ্ছে। আর এর পিছনে এত বেশি রাজনীতি রয়েছে যে সাধারণ লোকজনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই সুযোগেই আয়ুর্বেদ ওষুধের রমরমা। কিন্তু সত্যিকারের পরিসংখ্যান কোথায়? আর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালই বা কোথায়? সুতরাং কেউ গুজবে কান দেবেন না।

হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *