সর্বশেষস্বাস্থ্য

বাচ্চাদের দুঃস্বপ্নের প্রতিকার করবেন কি করে? জেনে নিন

শিশুদের মনেও বড়দের মতো উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, ভয় জায়গা করে নেয়। দুঃস্বপ্ন হয়ে সেগুলোই ঘুমের মধ্যে ফিরে আসে। ঘুমের মধ্যেই বিভিন্ন ভয়ের স্বপ্ন দেখতে পায় এবং ঘুম ভেঙে কেঁদে ওঠে অনেক শিশুই। এ সমস্যার সমাধান রয়েছে বাড়ির বড়দের হাতেই ।

দুঃস্বপ্ন দেখা শুধুমাত্র বড়দের সমস্যা নয়। ছোটদের মধ্যেও এই সমস্যা জায়গা করে নিয়েছে। পার্থক্য হলো আমরা বড়রা সমস্যাটা বুঝতে পারি। শিশুরা বোঝে না। তাই ভয় পেয়ে অসহায় বোধ করে। তাদের ভয় কাটিয়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে বাড়ির বড়দের‌ই। জেনে নিন কি করে শিশুর দুঃস্বপ্নের ভয় কাটাবেন (How to solve your child’s nightmare in bengali) ?

★ বাচ্চারা যদি ভয় পেয়ে জেগে ওঠে, প্রথমেই তাকে সেটা স্বপ্ন বলে তার উপর চাপিয়ে দেবেন না। কারণ শিশুর কাছে তখন সেটা সত্যি বলে মনে হয়।

★ ধৈর্য ধরে শিশুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে জেনে নিন আপনার সন্তান কিছু বলতে চাই কিনা।

★ এই সময় জোর করা উচিত নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

★ পরের দিন বা কিছু সময় পর গল্পের ছলে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন।

★ দিনের আলোয় দুঃস্বপ্নের ভয় কেটে গেলে শিশু নিজেই সহজভাবে কথা বলতে পারবে।

★ ঘুমের আগে শিশুর মুড তৈরি করা খুবই প্রয়োজনীয়। মজার মজার গল্প শিশু‌র সঙ্গে শেয়ার করুন।

★ শিশু যে ঘরে ঘুমোয় সে ঘরের পরিবেশ যথাযথ হওয়া প্রয়োজন। নাইট ল্যাম্প এবং শিশুর পছন্দের সফট টয় ঘরে রাখতে হবে।

★ শিশুর পায়ের দিকে দেওয়ালে তার পছন্দের কোন ক্যারেক্টার ছবি রাখতে পারেন। যা দেখে ভয়ের সময় শিশুমন শান্ত হতে পারে।

★ শিশুর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রয়োজন। শুধু স্বপ্ন নিয়ে নয়। সবকিছু নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। শিশুর কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা বা কিছু নিয়ে শিশুর মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে নাকি সে সম্পর্কে জানা জরুরী। তাহলে শিশুর মনের মধ্যে চলা বিভিন্ন ঘটনার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। শিশুর মনের নেতিবাচক প্রভাব গুলো কাটিয়ে ফেলা সহজ হয়ে যাবে।

★ শিশুর উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার কারণ জানতে পারলে বাড়ি সদস্যরা‌ই শিশুর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এরপরেও যদি একান্ত মনে হয় যে পরিস্থিতি বাবা-মায়ের আওতার বাইরে। তাহলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে কাটছে। সে ক্ষেত্রে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়া বা স্কুল যাওয়ার মত কাজগুলি বন্ধ। সে ক্ষেত্রে সারাদিনের একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে শিশুমন। সেক্ষেত্রে তাদের বাড়তি যত্ন এবং তাদের সময় দেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।