দেশবিদেশরাজনীতিসর্বশেষ

কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় পাক প্রধানমন্ত্রীর! রেগে বেরিয়ে এলো ভারত

ইউনাইটেড নেশনস এর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে নিজের মতামত শুরু করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর তার বক্তব্যের শুরুতেই তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন। আর সেখানে তিনি ভারতকে কটু বাক্য প্রয়োগ করতে শুরু করেন। আর স্বাভাবিকভাবেই ভারতের তরফ থেকে এই নিন্দা সহ্য করা সম্ভব হয়নি (365 Reporter Bangla International News : India leaves United Nations meeting as Pakistan slams her)।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত প্রসঙ্গে নিন্দা করা শুরু করতেই ভার্চুয়াল সেশন থেকে ওয়াকআউট করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতীয় স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিত ভিনিত (1st secretary of permanent mission India to the United Nations is Mijito Vinito)। তিনি ট্যুইটারে লেখেন যে,”পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি অতি নিচু মানের একটি কূটনীতি ছাড়া কিছু নয়। পাকিস্তান ভারতবর্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, যুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলেন চিরকাল। এটি সকলের জন্য খুবই বিরক্তির বিষয়।

a meeting in world Nations general assembly
রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি (ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক)

শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন যে, বিভিন্ন দেশে ইসলামফোবিয়া বেড়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে। মসজিদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। মহামারীর মধ্যেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়া তিনি বলেন যে,ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা কে ব্যবহার করে চলেছে।

কিছুদিন আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও ওয়ার্কআউট করেছিল ভারত। সেখানেও পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে মানচিত্র ব্যবহার করেছিলেন, তাতে দেখা যায় যে, ভারতবর্ষের বেশ কিছু অংশ পাকিস্তানের ম্যাপের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে, পাকিস্তানের এই ধরনের কাজ খুবই লজ্জাজনক। বারবার তারা বৈঠকের নিয়ম লঙ্ঘন করেন। ভারতের প্রতিনিধিরা কিন্তু আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করার পর প্রতিবাদ জানিয়ে মিটিং থেকে বেরিয়ে যান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছর ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৪৫ সালের এই দিনে চীন থেকে শুরু করে আমেরিকা, রাশিয়া থেকে শুরু করে ফ্রান্স, সমস্ত দেশকে একসঙ্গে নিয়ে একটি সংস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে, “পাকিস্তানের এই ধরনের কাজ আয়োজক দেশের অ্যাডভাইসরইকে কে অমান্য করার শামিল। পাকিস্তান ওই বৈঠকে একটি বিভ্রান্তিকর মত পোষণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার আগেই আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে ভারতের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।