বাংলাদেশব্যবসাসর্বশেষ

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত, পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম বাংলাদেশের বাজারে

গত কয়েক দিনে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত। এই নিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে তরফে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার বিষয়ে কিছু না জানিয়েই হঠাৎই রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হয়েছে।বর্তমানে মহারাষ্ট্রের লালসালগাঁও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বন্ধ করা আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। তবে এবার ভারতের এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম সাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, কোন রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলে আগে থেকে জানানোর অলিখিত নিয়ম রয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের বাজারে সরাসরি প্রভাব ফেলবে (India stops onion exporting: price of onion skyrocketed in Bangladesh)।

গত বছর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের এসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনা করেছিলেন। তিনি জানান আগে থেকে রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে না জানালে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আগে থেকে জানালে অন্য দেশ থেকে আমদানি করার সুবিধাও থাকে। হাসিনার এই অনুরোধ ভারতীয় হাইকমিশনে চিঠি দিয়ে জানানো হয় বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

ঢাকার সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ছাড়িয়েছে কেজি প্রতি একশো কুড়ি টাকা। বেশিরভাগ দোকানে পেঁয়াজ অমিল। এই সুযোগে অনেকেই একবারে অনেক পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি ট্রাকে করে ৩০ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। কিন্তু চাহিদার জন্য প্রতি ক্রেতা পিছু মাত্র ১ কেজি পেঁয়াজ বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তুরস্ক কিংবা মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার। কিন্তু জাহাজে করেও পেঁয়াজ আসার জন্য সময় লাগবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। পেঁয়াজের এরকমই আচমকা দাম বৃদ্ধি এবং আকালে বাংলাদেশের মানুষ যে সমস্যায় পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।