তেহট্টতে দীপাবলীর আলোর বদলে নেমে এলো অন্ধকারের ছোঁয়া
দীপাবলিতে চারিদিকে যখন আলোতে আলোকিত, সকলের প্রত্যেকটা প্রদীপ জ্বালানোর সঙ্গে প্রার্থনা করে তাদের জীবন আলোকিত হওয়ার। কিন্তু এরকমই দীপাবলীর দিনে তেহট্টে নেমে এলো আলোর বদলে অন্ধকার। পাক-ভারত সীমান্তে গোলাগুলিতে মারা গেল তেহট্টর এক বাসিন্দা যিনি একজন ভারতীয় জাওয়ান। পাকিস্তান ভারত সীমান্তে হলো আবার ভারতীয় জওয়ান এবং পাক সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি। এই গোলাগুলির ফলে প্রায় ভারতীয় ৫ জন সেনা এবং ৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। তবে উল্টো দিকে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। (Instead of the light of Diwali, a touch of darkness descended on Tehatta)
পাঁচজন যে ভারতীয় সেনা মারা যান তাদের মধ্যে একজন তেহট্টের বাসিন্দা। (indian army officer Subodh Ghosh from Tehatta, Nadia becomes Sahid due to the gun fires from Pak soldiers)
শুক্রবার সকালে সমস্ত রকম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকসেনারা গুলিবর্ষণ শুরু করে চার সেক্টরে। সে গোলাবর্ষণের ফলে ৫ জন ভারতীয় সেনারা প্রাণ হারায়, শুধু মাত্র ৫জন ভারতীয় সেনা নয় তার সঙ্গে আরো ৬ জন নাগরিক তাদের প্রাণ হারায়।
৫ জন যাদের মধ্যে একজন হলেন তেহট্টর বাসিন্দা সেই মৃত জনের নাম হল সুবোধ ঘোষ। সুবোধ ঘোষের মৃত্যুর পর তাঁর মৃত্যুর খবর সেইদিন বিকেল চারটে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয় এবং যার ফলে দীপাবলির আলোর বদলে অন্ধকার নেমে আসে পরিবারের ওপর।
বছর চারেক আগে সুবোধ ঘোষ ভারতীয় সেনাতে তার নাম লিখিয়েছিলেন। তিনি বিবাহিত, সারাবছর বাইরে থাকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। তিনি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে,আগামী মাসেই তিনি বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হলো না । দেশ মাতাকে রক্ষা করতে করতে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি।
পাকসেনাদের গুলির ফলে মৃত্যু হয় ২৪ বছরের সেই তরতাজা প্রাণটি।
সেনা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে ভারতীয় সেনার হামলার ফলে পাকিস্তানের সেনাদের বাঙ্কার , জ্বালানি ভান্ডার এবং লঞ্চপ্যাড সমস্ত কিছুই ক্ষতি হয়।