দেশরাজনীতিসর্বশেষ

কৃষি বিলের বিরোধিতা সব রাজ্যের, সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে কেরল সরকার

কৃষি বিল পাস নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত সংসদ চত্বর। কৃষি বিলের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় আট বিরোধী সাংসদকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিরোধীদের তরফেও পাল্টা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অধিবেশন বয়কট করার। এই ঘটনার পাশাপাশি ১৮টি বিরোধী দলের তরফে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিলে স্বাক্ষর না করার জন্য। তবে বিরোধিতার পাশাপাশি আইনি পথেও বিলের বিরোধিতা করবে কেরালা সরকার (All states in India protests against form bill 2020- Kerala government will face supreme court protesting farm bill 2020)।

সংসদের দুই কক্ষে কৃষি বিল পাশ হয়ে যাওয়ায় সেই বিলকে সুপ্রিমকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। কেরালা সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কৃষকদের স্বার্থকে আঘাত করছে। ওই বিল পাশে রাজ্যগুলির ক্ষমতা লোপ পাবে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন কৃষি গবেষণা, কৃষিবিদ্যা, কৃষির ফসল রক্ষা রাজ্যের অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোন আলোচনাই করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে। তিনি মনে করেন এই বিল আইনে পরিণত হলে লাভবান হবে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন।

all states in India protests against form bill 2020
কৃষি বিলের বিরোধিতা সব রাজ্যের (ফটো ক্রেডিটঃ গুগল)

তিনটি কৃষি সংশোধনী বিল পাশ করা হয়েছে সংসদে। মঙ্গলবার বিরোধীশূন্য সংসদে বিলটি পাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিলে ডাল, আলু, পেঁয়াজের মত প্রয়োজনীয় জিনিসকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুতের কোনো সীমা থাকলো না। এরফলে বড় ব্যবসায়ী বা মজুতদাররা পণ্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করতে পারবে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পণ্য উৎপাদন সরবরাহ এবং মজুতের সীমা না থাকার জন্য কৃষকের পাশাপাশি সুবিধা পাবে বেসরকারি সংস্থা। এতে বিদেশি বিনিয়োগও হবে। এরপরই বিরোধীদের মধ্যে এই নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের মন্ত্রী ডি আর দাদারাও জানান, মজুত করার সীমা নির্দিষ্ট থাকার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হচ্ছিল না। এই আইনের ক্ষেত্রে কৃষক ও ব‍্যবসায়ী দু’পক্ষই লাভের মুখ দেখবে।

এই বিলের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রাস্তায় নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। মজুতদাররা লাভবান হবে। তবে শুধুমাত্র বিরোধিতা নয় কেরল সরকারের পক্ষ থেকে আইনি পথে বিরোধিতা করা হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।