কলকাতাখবররাজ্যসর্বশেষ

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার আশায়, নিরাশ হয়ে ফিরলো এক রোগী – Swasthya Sathi Card

West Bengal Election 2021 : ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট একদম সামনেই, আর হয়তো রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি সপ্তাহ তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বাংলায় ভোটের খেলা। একদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা যেমন তাদের সভা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সাথে সাথে অনেক তৈরি করছেন জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর প্রকল্পটিও। (Kolkata hospital denies to treat even after seeing Swasthya Sathi card)

সেই রকমই একটি প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনস্বার্থে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেন, যেখানে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যেই রাজ্যের যেকোনো হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে চিকিৎসা পাবেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় এসেছে।

কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করার পরেও নানা রকম হতাশার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জনসাধারণকে মাঝে মাঝেই শোনা যাচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই রকমই একটি ঘটনা হলো কলকাতায়। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ার আশায় স্বাস্থ্যে সাথী কার্ড নিয়ে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যায়,কিন্তু সেইখানে সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার তাকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা, কিন্তু সেই হাসপাতলে যখন ছেলে আকাশ খান তার বাবাকে নিয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বদলে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন। (Alauddin Khan from Arambagh, age -52 years, son name – Akash Khan)

আলাউদ্দিন খান বছর ৫২ আরামবাগের বাসিন্দা, বাইক দূর্ঘটনায় তার শরীরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং যার জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। আকাশ খান তার বাবা আলাউদ্দীন খানকে নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে আসার পর হাসপাতাল জানায় যে স্বাস্থ্য সাথীর জন্য কোন পরিষেবা এখনো পর্যন্ত নেই।

আকাশ খান ওরফে রোগীর ছেলে যখন প্রশ্ন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যে, কেন এখনো পর্যন্ত এই সুবিধাটি নেই। তখনই লেগে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদ। অন্যদিকে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে এরপর কোন রাস্তা না পেয়ে আবার আরামবাগে ফিরে আসে তারা। এখনো পর্যন্ত সেই রোগী আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে, ওই নার্সিংহোমে সঠিক রকম চিকিৎসার কোন পরিষেবা নেই বলে এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে চিকিৎসা শুরু হয়নি