দেশভাইরালসর্বশেষ

লাখ লাখ মানুষ পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল চাইছে- রামদেব

এই করোনা মহামারী সময়ে বিভিন্ন সংস্থা থেকে করোনার প্রভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রস্তুত করা হচ্ছে। তো একই পথে হেঁটেছে বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি (Patanjali)। করোনা রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য পতঞ্জলি সংস্থা করোনিল নামে একটি মেডিসিন তৈরি করেছে। বাবা রামদেবের কথা অনুসারে, এই ওষুধ খেলে করোনা রোগ থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। তবে কেন্দ্র থেকে এই ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

বিতর্ক
এই ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হয়। তারপরেই ওষুধ বাজারে আনার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। তবে এই ওষুধ কে করো না নির্মূল করার ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। কেন্দ্র এই ওষুধকে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে বাবা রামদেবের এই প্রতিষেধকটি নিয়ে লোকজনের মনে নানা রকম প্রশ্নের জন্ম নিয়েছিল।

করোনিলের বিশাল চাহিদা
গত বুধবারে শিল্প সংস্থা এ্যাসচেইন ‘আত্মনির্ভর ভারত- ভোকাল ভোকাল’ নামে একটি কর্মসূচি সম্পন্ন করে। আর সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্স এর দ্বারা যোগ দেন বাবা রামদেব। এখানে তিনি নিজের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বিভিন্ন কথাবার্তার মধ্যে এটা বলেন যে,” পতঞ্জলির ওষুধগুলো তৈরি হয় মূলত হরিদ্দার থেকে। আর এই ওষুধ করোনিলের ডিমান্ড দিনের-পর-দিন ঊর্ধ্বগামী (lakhs of people demands coronil)। অর্থাৎ লোকের কাছে এই ওষুধের চাহিদা শুধু বেড়েই যাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা 10 লাখ প্যাকেটের অর্ডার পাই। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা দশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ 1 লাখ প্যাকেট সাপ্লাই দিতে পারি।”

আমরা অতিরিক্ত দাম ধরিনি
রামদেব(Baba Ramdev) একথা বললেন যে, করোনিল মূলত একটি আয়ুর্বেদ ঔষধ। এই মুহূর্তে এই ওষুধের মূল্য হিসেবে মাত্র ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। তবে এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে যদি আমরা ৫,০০০ টাকাও চেয়ে বসতাম তাহলেও সবাই দিতে রাজি হতো। কিন্তু আমাদের সংস্থা সেই অমানবিক কাজ করেনি। আমরা একটা ন্যায্য দাম ধার্য করেছি যাতে সবার সামর্থের মধ্যে থাকে।”

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।