দেশরাজনীতিরাজ্যসর্বশেষ

চলুন জেনে নেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ বোসের সম্পর্কে

এই ঘটনাতে সুভাষ বোস অত্যন্ত রেগে যান। তিনি তখন শিক্ষককে বলেন,” সংস্কৃতি বা সংস্কৃতির কোন চিহ্ন যদি কোন গুরুত্ব বহন নাই করে তাহলে আপনি যে আমাদের সম্মানীয় শিক্ষক এরও কোনো গুরুত্বই নেই।”

এই কথা বলেই তিনি সেই বিদেশি সাহেবকে তার চটি খুলে মারতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে প্রিন্সিপাল, সেই শিক্ষককে সুভাষের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। কিন্তু সেই শিক্ষক লজ্জায় আর কিছু বলেননি। হয়তো তিনি তখনই বুঝে গিয়েছিলেন যে এর মধ্যে কতটা বিপ্লবের আগুন রয়েছে।

কর্মজীবনের সূত্রপাত
২০ বছরের মধ্যে তাকে মোট ১১ বার গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ভারত এবং রেঙ্গুনের বিভিন্ন জায়গায় কারাবন্দি করে রাখা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসন দেওয়া হয়। ১৯৩৯ সালে তিনি পুনরায় কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই সময়ে গান্ধীজী অহিংসা নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। অপরদিকে সুভাষচন্দ্র ভেবেছিলেন যে এই নীতিতে কাজ করলে স্বাধীনতা আনার পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। তাই তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নামে নতুন দল গঠন করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (2nd World War)
১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আর এই সময়ের গন্ডগোল কে কাজে লাগিয়ে তিনি স্বাধীনতা আদায়ের জন্য আরও সচেষ্ট হন। তাছাড়া তিনি আরোও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অন্য দেশের রাজনৈতিক সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে। তাই তিনি একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে সচেষ্ট হন।

অন্তর্ধান
তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত সুকৌশলে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি চাইছিলেন আফগানিস্তান ও রাশিয়া অতিক্রম করে জার্মানিতে যাবেন। বিভিন্ন পথ অতিক্রম করার পর থেকে তিনি জার্মানিতে পৌঁছাতে সমর্থ হন। আর জার্মানির বার্লিনে মুক্ত ভারতীয় কেন্দ্র গঠন করেন। এমনকি তিনি ভারতের স্বাধীনতা লাভের হেতু জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে হিটলার ও সুভাষ বসুর সাথে মিত্রতা করেন।

ভারতের জাতীয় সেনাবাহিনী (Indian National Army- INA)
ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বিপ্লবী নেতা রাজবিহারী বসু গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৪৩ সালে এই সৈন্যবাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তুলে দেন। রানী লক্ষ্মীবাঈ কম্বাট (Rani Laxmibai Combat) বা একটি আলাদা নারী সৈন্যবাহিনীতে প্রায় ৮৫,০০০ সৈন্য ছিল। আরে সৈন্য বাহিনীর (Azad Hind) দ্বারা গঠিত সরকারের নিজস্ব মুদ্রা, আদালত ও নিয়ম কানুন ছিল। অক্ষশক্তির নয়টি দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে দেয়।

জাপানিরা যুদ্ধে পরাজয় করার পর আইএনএ থেকে তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীকালে জাপান আত্মসমর্পণ করে। আর স্বভাবতই আইএনএ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।পরের অংশ…

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।