বিডিওকে ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে বাধা দিলো বাড়ির মালিক! প্রশ্নের মুখে এলাকাবাসী
করোনার মত এই বিধ্বংসী রোগের সময় গ্রামবাসীর সুরক্ষা দানের জন্য দিনরাত এক করে প্রচন্ড পরিমানে পরিশ্রম করছেন তিনি। কিন্তু কাজের শেষে রাত্রে বাড়ি ফেরার সময় করো না রোগীর সন্দেহে তাকেই বাড়ি ঢুকতে বাঁধা দিল বাড়ির মালিক এবং তার প্রতিবেশীগণ।
এই ব্যাপারটি ঘটেছে রবিবার আরামবাগে 14 নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লী নামক জায়গায়। ওই এলাকায় একটা ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন বিডিও সুরশ্রী পাল।তাছাড়া ওই গ্রামের সেফ হাউজের দেখাশোনা করার গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য রয়েছে তারই ঘাড়ে। তাছাড়াও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা সমস্ত লোকজন এর সুযোগ সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখার গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য তিনি পালন করেন।
এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। কিন্তু রবিবার হুগলির গোঘাট 1-নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাকে ভাড়া বাড়িতে ঢোকার সময় দরজা আগলে দাঁড়ায় পাড়া-প্রতিবেশী এবং বাড়ির মালিক।
প্রথম দিকে তিনি নিজেই গ্রামবাসীকে বোঝানোর প্রচেষ্টা চালান। সমস্ত রকম সামাজিক দূরত্ব ঠিকরেখেই নিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি কিন্তু গ্রামবাসী এতে ক্ষান্ত হননি। বরং তার উপরে আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে মহকুমাশাসক এবং পুলিশকে ফোন করে দেন সুরশ্রী দেবী।
আর এক ঘণ্টার মধ্যেই ওই জায়গায় পুলিশ এসে হাজির হয়। প্রথমত ন্যায্য যুক্তির মাধ্যমে বাড়ির মালিক এবং পাড়ার লোকজনকে ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা চালায় পুলিশ। এই বিডিও ছিলেন সম্পূর্ণ নীরোগ। তাই সাধারণ লোকজনের ভয় পাওয়ার কোনো প্রকার কারণই ছিল না।
প্রথম দিকে তাকে বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য পুলিশের লোকজন অনুরোধ করে। কিন্তু তারপরও বিডিওকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে নারাজ থাকেন এলাকাবাসীরা। তাই পুলিশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করে, এমনটাই লোকজনের থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দু’ঘণ্টা পর পুলিশের পাহাড়ার সাহায্যে বাড়িতে ঢোকেন বিডিও। আর এই পুরো ঘটনাটির ফলে বাড়ির মালিক তার স্ত্রী ও আরও 6 জন লোককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরামবাগ মহকুমা শাসক জীবেন্দ্র সিংহ বলেন এই বিডিও সাধারণ লোকজনের কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করে চলেছেন। কিন্তু যাদের জন্য এতকিছু তারাই পুরোপুরি সচেতন নয়। সাধারণ মানুষকে সবসময় বোঝানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সচেতন করা হচ্ছে ক্রমাগত।
অপরদিকে বিডিও সুরশ্রী পাল ঘটনাটি সম্পর্কে বলেন, তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেখানে ঢুকতে যাওয়ার সময় পঞ্চায়েত সমিতিতে যেসব লোকের করোনা হয়েছিল তাদের কথা বলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন বাড়ির মালিক। তাদেরকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা চালালেও এই ব্যাপারটির সুরাহা হয়নি।
হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।