দেশবিদেশসর্বশেষ

আরো একবার মহামারীর কবলে গোটা বিশ্ব ! তাহলে কি এবার ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী ?

একে করোনাতে রক্ষা নেই তার মধ্যে এসে গেল অন্য আরেকটি সংক্রমণ। যার নাম ব্রুসেলোসিস (New bacteria Brucellosis is spreading rapidly after corona)। এখনো পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন এসে পৌঁছলো না আমাদের ভারতবর্ষে, তার মধ্যেই নতুন একটি ব্যাকটেরিয়ার ঢুকে পরল ভারতবর্ষে। তবে এবার আর ভুল করতে রাজি নয় ভারত প্রশাসন, প্রথম থেকেই ভুল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে এই ব্যাকটেরিয়া কে।

আমরা সকলেই জানি করোনা নামক মহামারীর উদ্ভব হয়েছিল চীনের উহান শহরে। সেখান থেকে কিভাবে এই মহামারী সকলের জন্য আতঙ্কের বিষয় হলো তা এখন কারও অজানা নয়। শোনা যাচ্ছে, এই নতুন ব্যাক্টেরিয়া নাকি প্রথম ধরা পড়েছে চীনের কোন একটি শহরে।

new bacteria Brucellosis
নতুন মরণব্যাধি ব্রুসেলোসিস (ফটো ক্রেডিটঃ গুগোল)

চীনের গানসু প্রদেশের রাজধানী শহরের (Gansu, China) জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। তবে এখনো পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে ভারতেও একাধিক জায়গায় এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়ছে। সবথেকে চিন্তার ব্যাপার শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকেনি, মানুষের পাশাপাশি পশুদের মধ্যে ও সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে,এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের থেকে মানুষকে খুব একটা ছড়াতে পারবে না। তবে দূষিত খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের ভেতর দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া।

সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং করানো থেকে আরম্ভ করে যৌন সম্পর্ক থেকে ছড়িয়ে যেতে পারে এই নতুন ব্যাকটেরিয়া। ক্ষতস্থান থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।

মানুষ থেকে পশু কাউকে ছাড়বে না এই ব্যাকটেরিয়া। বিশেষত পশুদের থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে এই ভয়ংকর অসুখ।

গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে ঝংমু লঞ্জুর বায়োলজিক্যাল ওষুধ কারখানা (Brucellosis first found in Zhongmu Lunjir Biological Laboratory in the last year ) থেকে এই রকম একটি ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি ভেড়া গরু ছাগল কুকুর সমস্ত রকমের প্রাণী আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সবথেকে দুশ্চিন্তাজনক ব্যাপারটি হলো, সংক্রমণ হওয়ার কয়েক দিন থেকে কয়েক মাসের মধ্যে বোঝা যাবে উপসর্গ। প্রথমে জ্বর, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, মাথাব্যথা, ঘাম,গাঁটে ব্যথা এই সবকিছু থেকে বোঝা যাবে এই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের উপসর্গ।

তবে একটাই সুখের খবর হলো,করোনার জন্য কোন চিকিৎসা না থাকলেও ব্রুসেলোসিস এর চিকিতসায় একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে।

তবে কেউ যদি এই ব্যাকটেরিয়াল আক্রান্ত হয়, তাহলে তার সেরে উঠতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। পরে আবার দ্বিতীয়বার সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র উপায় হল, কাঁচা ডেয়ার পণ্য থেকে দূরে থাকা। পশুদের নিয়ে কাজ করলে খুব সাবধানে কাজ করতে হবে।

ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতে এখনই শুরু করে দেওয়া উচিত ব্রুসেলোসিস টেস্ট। না হলে অদূর ভবিষ্যতে আরও একটি মহামারী জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।