দেশসর্বশেষ

বিরোধী‌দের প্রশ্নের মুখে চুপ কেন্দ্র, পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর কোনো তথ‍্য নেই কেন্দ্রে‌র হাতে

লকডাউনের পরবর্তী সময় থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে সরকারি মহলে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে গতকাল সংসদের বাদল অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। লকডাউনে বহু পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সময় পথেই মৃত্যু হয়েছিল তার হিসেব নেই সরকারের কাছে। এমনটাই গতকাল জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।

তিনি আর‌ও জানান, যেহেতু মৃত পরিযায়ী শ্রমিক‌দের হিসেব নেই, সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই (No data on parijayi sromik so no compensation from Govt)। লকডাউনের ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা দিয়েছিলেন। তারপরই তড়িঘড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এরপরই বিরোধীরা অপরিকল্পিত লকডাউনের জন্য দোষারোপ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। লক্ষ লক্ষ মানুষের অসহায় হয়ে পড়া এবং রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করেছিল সরকারকে।

দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পরই পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে আসে। কখনো ট্রেনে কাটা পড়ে, গাড়ির ধাক্কায়, আবার কখনো বহু পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে এবং অভুক্ত অবস্থায় মানুষের মৃত্যু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, এর থেকে লজ্জাজনক বিষয় কি হতে পারে? মোদি সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় পথে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করেছিল সরকার। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ৬৩ লক্ষ মানুষকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাদের গন্তব্যে। এখনো পর্যন্ত ৪৬১১ ট্রেন চলেছে। কিন্তু কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই নথি নেই সরকারের কাছে। বিরোধী‌দের প্রশ্নে কত মানুষ কর্মহীন হয়েছে সেই উত্তর দিতে পারেনি সরকার।