“সুশান্ত বেঁচে থাকলে ওর ঠিক সাজা হত,” সুশান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রিয়া চক্রবর্তী
সুশান্তের মৃত্যুর পর মাদক চক্রের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী কে। গত মঙ্গলবার খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে জামিনের আবেদন করেও তা খারিজ হয়ে যায়। এতদিন নিশ্চুপ থাকার পর অবশেষে সুশান্তের মৃত্যুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রিয়া চক্রবর্তী (365 Reporter Bangla Entertainment News: Rhea Chakraborty expresses her anger against actor Sushant Singh Rajput)।
তিনি সুশান্তের পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, “সুশান্তের বাড়ির সকলে ডিপ্রেশনের কথা জানার পরেও সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা দেখায়নি। সুশান্তর দিদিরা তার আদরের ভাইকে ফেলে চলে গেছিল। আমাকে এখন অনেকে কু কথা বলছে। সুশান্ত সারা জীবন ড্রাগের অভ্যাস বজায় রাখার জন্য আমাদের ব্যবহার করে এসেছে”।

বোম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানানোর পর অবশেষে সুশান্তের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বললেন সুশান্তের মৃত্যুর মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। আপাতত জামিন না পাবার জন্য জেলে পঁচতে থাকতে হবে তাকে। রিয়া চক্রবর্তী কাছ থেকে আরো অনেক গোপন তথ্য জোগাড় করেছে এনসিবি। সেই প্রসঙ্গে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই দীপিকা পাডুকন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান কে জরুরি তলব জানিয়েছে এনসিবি।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর আইনজীবী বোম্বে হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন জামিনের আর্জি তে রিয়া জানিয়েছেন, সুশান্ত যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে অন্যদের মতো তার বিরুদ্ধেও ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠতো। আমাদের মত তাকেও জেলে যেতে হতো। আমাদের মত বেশি শাস্তি না হলেও খুব কম করে হলেও এক বছরের কারাদণ্ড হত সুশান্তের। চিরকাল ও আমার ভাইকে ব্যবহার করে এসেছে। নিরজকে অর্ডার করত গাঁজা বানিয়ে রাখার জন্য। মৃত্যুর মাত্র ৩ দিন আগে, নিরজকে গাঁজা আনবার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সুশান্ত। কিন্তু মৃত্যুর পর সেই বাক্স খালি পাওয়া যায়।
জামিনের আবেদন পত্রে রিয়া চক্রবর্তী আরো বলেছেন যে,সকলের ফোনের কল লিস্ট চেক করা হলেও কেউ কিন্তু সুশান্তের কল লিস্ট চেক করলো না। সুশান্ত কিন্তু নিয়মিত মাদক সেবন করত। আমি ওর কথা মতো বহুবার মাদক কিনে এনেছি। নিজে কখনো খাইনি। আমার ভাইয়ের সঙ্গে বড়দাদার মত মিশতো সুশান্ত। বুদ্ধি করে আমার ভাইকেও (Showik Chakraborty) ব্যবহার করেছে ও।