আবহাওয়াখবরসর্বশেষ

আরো অনেক ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে চলতি বছরে, জানলো মৌসুম দপ্তর।

চলতি বছরে হাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সেই সময় এখনও আমরা অনেকেই ভুলতে পারিনি। টানা প্রায় ১০ দিনের মত চলাচল বন্ধ ছিল অনেক জায়গায়। ব্যাহত হয়েছিল জনজীবন। এমন বড় ঘূর্ণিঝড় বহু মানুষ বহু বছর দেখেনি। কিন্তু একটি ঘূর্ণিঝড়ে এবছর শান্ত থাকছে না। এই বছরে আরো কিছু সাইক্লোন তৈরি হবার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আরও অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (This year weather update)

প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের ফলে এমনিতেই পৃথিবীর আবহাওয়া অনেকটাই বদলে গেছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এতটাই গরম, ভাবা যায় না। ফুল স্পিড ফ্যান, পাশাপাশি এসি সব চালাতে হচ্ছে। (আগামীকালের আবহাওয়া)

cyclone image india
ঘূর্ণিঝড়ের ফটো (ক্রেডিট : ইউটিউব)

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর আবারো একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ভয়ানক নিম্নচাপ। তরে আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী এখানেই নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। এরপরেও চলতি বছরের শেষে অর্থাৎ আগামী নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে আরো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। (new cyclone ghurni jhor may happen in the Bay of Bengal after Amphan)

এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড় সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়াবিদরা এই অবস্থাকে ‘লা নিনা’ পরিস্থিতি বলেছেন (La Nina condition in West Bengal- multiple cyclone may occur in a same year and huge cold weather may happen)।

এই লা নিনা পরিস্থিতির অর্থ হলো, একটি বছরে বহুবার সাইক্লোন তৈরি হবার সম্ভাবনা থাকে। এর পাশাপাশি সেই বছরে কনকনে ঠাণ্ডা পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। (konkene thanda)

এই বছর নভেম্বর মাস থেকেই জমিয়ে শীত পড়বে বলে মনে করছেন মৌসম ভবন। তবে শীতের আগমনের ওপর নানা রকম আবহাওয়াগত এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাব থাকতে পারে। সেই সমস্ত যদি কাটিয়ে ওঠা যায়, তাহলে চলতি বছরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে পারে বলেই মনে করছেন আবহাওয়া দপ্তর।(Alipore Weather Forecast – Meteorological Dept India)

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।