ইলেকশনের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের গল্পে টিআরপি শেষ! মুখ খুললেন রোশন এবং নিখিল
গতবছর যে দুই মানুষের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে খবরের শিরোনাম সরগরম ছিল, রাজনীতির আড়ালে তা এখন অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গেছে। বিশেষত যেখানে সম্পর্কের অন্য ব্যক্তি স্বয়ং রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। হ্যাঁ কথা বলছি নুসরাত জাহান এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। দুজনেই ব্যক্তিগত জীবনে গত বছর তিনি খুব একটা খুশি নয়। তাদের মধ্যে পার্থক্য শুধু একটি জায়গায়।একজন গত বছর থেকেই রয়েছেন তৃণমূলের সংসদের পদে এবং অন্যজন সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। (Tollywood Xossip News: Srabanti Roshan and Nusrat Nikhil divorce rumours)
তবে সম্প্রতি আনন্দবাজার ডিজিটাল কে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোশন জানালেন যে, নির্বাচনের আগে কোন কিছুই হবে না। তবে আমি এটুকু বলতে পারি যে, যে মেয়েটিকে আমি ভালবাসতাম একদিন তাকে হয়তো আজ রাস্তায় দেখলে চিনতে পারবো না। আমার কাছে সম্পূর্ণ অজানা একজন ব্যক্তি সে।
রোশানের পাশাপাশি কিছুদিন আগে আনন্দবাজার ডিজিটাল কে নিখিল ও এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, বিবাহবিচ্ছেদ কবে হবে সেটা ঠিক জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এইটুকু বলতে পারি এখনও সে সময় আসেনি।
শ্রাবন্তীর স্বামীর রোশন জানান যে, এই মুহূর্তে আমি যদি কোন মন্তব্য করি তা বিতর্কিত আকার ধারণ করে নেবে। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হতে পারে। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তিনি কতখানি নির্ভর ছিলেন তার স্ত্রীর ওপর আর্থিক দিক দিয়ে।
সেই প্রসঙ্গে রশান জানিয়েছেন যে, ২০০৭ সালে ২৩ শে জুলাই আমি এটি এয়ারলাইন্স এর কেবিন সুপারভাইজার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। তখন আমার মাইনে ছিল প্রায় ২৫ হাজার টাকা। সে চাকরি করতে করতেই আমি নিজস্ব জিম খুলে ফেলি। এটা থেকে নিশ্চয়ই বোঝা যায় যে আমি আর্থিকভাবে খুবই স্বাবলম্বী। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে এতদিনে আমার না খেতে পাবার মত অবস্থা হয়ে যেত।
অপরদিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করার পরেই আরো একবার নতুন করে প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেল শ্রাবন্তী জীবনে। শ্রাবন্তী চতুর্থ প্রেমিকের নাম নাকি অভিরূপ নাগ চৌধুরী। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। শ্রাবন্তির অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই থাকেন তিনি। সম্প্রতি নাকি সম্পর্কের এক মাস পূর্তি সেলেব্রেশন করেছেন দুজনে মিলে। তবে এই সম্পর্কের ঠিক কতখানি পরিনতি হবে তা এখন থেকে বলা যাচ্ছে না।
বৈবাহিক সম্পর্ক কেএখন আড়ালে সরিয়ে রেখেছেন নুসরাত জাহান এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এই সম্পর্কের টানাপোড়েন যে আরো একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
