দেশসর্বশেষ

শুধুমাত্র সন্দেহের বশে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল তেইশ বছরের এক যুবকের, ঘটনাস্থল দিল্লি

রাজধানী দিল্লিতে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনায় ফের মৃত্যু হল এক যুবকের । মোবাইল চোর সন্দেহে রাহুল নামে এক তেইশ বছরের যুবক গণপিটুনির শিকার হয়। গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক অত্যাচার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে ওই যুবককে (Suspected man dies due to mass beating in Delhi)। শনিবার এরকমই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো রাজধানী দিল্লি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে। অভিযুক্তরা মুস্তাক আহমেদ, শিরাজ আহমেদ আনিশ, ও ইশতিহার।

খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, গণপিটুনির ঘটনা ঘটে শুক্রবার। ঘটনাস্থলে এক প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনে এই ঘটনার বর্ণনা পেয়ে দিল্লির লোহামান্ডি নরৈনার টেন ব্লকের এমসিডি পার্কের কাছে পৌঁছায় পুলিশ (Police Reaches Delhi Loha Mandi 10 Block MCD Park)। সেখান থেকেই পুলিশ আধিকারিকরা উদ্ধার করেন রাহুল নামে ওই যুবকের নিষ্প্রাণ দেহ। সেসময় যুবক হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সংজ্ঞাহীন ভাবে পড়েছিল এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাহুল নামে ওই তেইশ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি চুরির অভিযোগ থাকায় পনেরো কুড়ি দিন আগেই সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল। ঘটনার দিন রাহুলের পরিচিতরা সিরাজ নামে অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি নতুন মোবাইল চুরি করে। পার্কের সামনে একটি ট্রাকে সিরাজের মোবাইলটি রাখা ছিল এবং ট্রাক থেকেই সেই মোবাইলটি চুরি করা হয়েছিল বলে রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

এরপর চার অভিযুক্তের কাছে ধরা পড়ে যায় রাহুল নামের ওই যুবক। এরপরই লোকচক্ষুর আড়ালে পার্কের একটি গাছের সঙ্গে রাহুলকে বাধা হয়। এরপরই চলে অমানবিক অত্যাচার। লোহার রড দিয়ে চলতে থাকে বেধড়ক মারধর। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে দড়ি ছাড়াও একটি সাদা মাফলার উদ্ধার হয়েছে। ওই দড়ি দিয়েই যুবকে বাধা হয়েছিল। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য রাহুলের মৃতদেহ পাঠানো হয় হরিনগর এর ডিডিইউ মর্গে। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, অভিযুক্তরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। যে লোহার রড, লাঠি, পাইপ দিয়ে যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছিল সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।