কলকাতাখবরদেশরাজ্যসর্বশেষ

করোনার প্রভাবে লোকাল ট্রেনগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য মামলা হাইকোর্টে

করোনার সংক্রমণ যেন দিনে দিনে ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু এর প্রতিকার হিসেবে এখনো কোন ওষুধ আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। এই করোণা সংক্রমণে জন্য এত দিন আটকে ছিল ট্রেন চলাচল। কিন্তু অবশেষে যাত্রীদের কথা ভেবে রাজ্যের তরফ থেকে ট্রেন খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। কিন্তু ট্রেন খুলে গেলে সংক্রমণ বাড়তে পারে এরকম প্রশ্ন অনেকের মনে উঠেছে। সেই জন্য ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ পালন করতে হবে, এই মামলা করা হলো হাইকোর্টে। (The case in the High Court for the control of local trains under the influence of Corona)

দুর্গাপূজা এবং কালী পুজো তে নানারকম বিধি নিষেধ হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল। এইবার ট্রেন চলাচলের ফলে ট্রেনের ক্ষেত্রেও কিছু আবেদন জমা দেওয়া হলো হাইকোর্টে।

জানা গেছে যে, কালী পুজো ও ভাইফোঁটাতে যে সমস্ত ট্রেন গুলি আসবে সেগুলি ভীড় এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন স্টেশনেই দাঁড়াতে পারবেনা।

কালীপূজায় ট্রেনে ভিড় হতে পারে এই কথা ভেবেই হাইকোর্টে এরকম মামলা করা হয় এবং আশা করা যাচ্ছে যে,এরপরে জগধাত্রী পূজোতে ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ হাইকোর্টের তরফ থেকে আমাদের কাছে আসবে।

পুজোতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন, তিনি হলেন অজয় কুমার দে এবং ট্রেন চলাচলের নিয়ন্ত্রণের জন্য এই মামলাটি তিনিই করেছেন।

অজয় কুমার দের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় তিনি বলেন যে, পুজোর মধ্যে করোনার সংক্রমণটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এই সংক্রমণটা কমানোর জন্য একমাত্র উপায় হল, ট্রেনে যাত্রী ওঠানোর সংখ্যাটা কমানো।

তাই যাতে যাত্রীর সংখ্যা কম হয় সেই জন্যেই এবং ট্রেন যাতে প্রত্যেকটা স্টেশনের না থামতে পারে সেই রকমই একটি মামলা অজয় চক্রবর্তীর আইনজীবীর থেকে হাইকোর্টে করা হয়েছে।

সামনে কালীপুজো এবং এই কালীপুজোর জন্যই বারাসাত, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম এই সমস্ত জায়গাগুলোতে ভীষণ ভিড় হয় এবং পূজার জন্য চন্দননগর, কৃষ্ণনগর এবং আরো কয়েকটি এলাকায় বেশ ভিড় হয়।

হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে যে এই পুজোর সময়ে যে যে স্টেশনগুলোতে বিরাট ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে, সে স্টেশনে যেন ট্রেন না থামানো হয় এবং সে স্টেশন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেন কোন ট্রেন থামানোর না হয়, এই ধরনের একটি আবেদন পত্র দেওয়া হয়েছে।

খবর সূত্রে জানা গেছে যে, শিয়ালদা থেকে প্রায় ২০০ জোড়া ট্রেন ছাড়া হবে। বেশিরভাগই শহরতলীর দিকের মানুষরা ট্রেনের ওপর ভরসা করেই তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছান।

তাই কিছু মাস ধরে করোনার প্রভাব এর জন্যই লোকাল ট্রেন গুলি চলাচল করা বন্ধ হয়ে গেলে এই সমস্ত মানুষগুলোর জন্য ভীষণ কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে লোকাল ট্রেন একবার চালু হলে কতটা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই সমস্ত আইনগুলোকে মানা সম্ভব হবে। স্বাভাবিকভাবেই যে স্টেশনে ট্রেন গুলি দাঁড়াবে সেই স্টেশনের প্যাসেঞ্জারদের নেওয়াটা উচিত হবে, না অনুচিত সে বিষয়ে অনেকের মধ্যেই তর্ক বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

The case in the High Court for the control of local trains under the influence of Corona
করোনার প্রভাবে লোকাল ট্রেনগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য মামলা হাইকোর্টে

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।