বিজ্ঞানসর্বশেষ

ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে পৃথিবী, খবর নাসা সূত্রে

সম্প্রতি নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রমেই ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে পড়তে চলেছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র (News From NASA)। ইতিমধ্যেই চৌম্বক ক্ষেত্রের ফাটল ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে দু টুকরো হয়ে গিয়েছে।(The Magnetic Field Of The Earth Tears Down) যার পরিণতিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ, এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগের মত জরুরী পরিষেবা।

এর পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার যে ক্ষমতা তাও লোপ পেতে পারে। পৃথিবীর অন্তর্ভাগ থেকে শুরু করে মহাকাশ পর্যন্ত এক ধরনের চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর আয়তন ২৫ থেকে ৬৫ মাইক্রোটেসলা। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রটি আমাদের মহাজাগতিক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এই চৌম্বক ক্ষেত্র শক্তি হারালে গোটা প্রাণীজগৎ পড়তে পারে গভীর সংকটের মুখে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর যে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই ক্ষেত্র সূর্যের বিকিরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি প্রশস্ত হয়ে যাওয়ায় সৌরকণা পৃথিবীর কাছাকাছি এসে পড়ছে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই ফাটলের ফলে প্রভাবিত হতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার প্রক্রিয়া এবং নেভিগেশনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই প্রসঙ্গে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি মে মাসে জানিয়েছে, গত দুশো বছরে চুম্বকীয় ক্ষেত্রটি ৯% শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। ১৯৭০ সাল থেকে আরও ৮% দুর্বল হয়েছে এই চৌম্বক ক্ষেত্র। এর পাশাপাশি আবহাওয়া এবং ঋতুতে পড়তে চলেছে বিরাট প্রভাব। “সোলার মিনিমাম” দেখা দিয়েছে। ১৮১৬ সালে কোন গ্রীষ্মকাল ছিল না। আবার সেই দিন ফিরে আসতে চলেছে বলে জানাচ্ছে বিজ্ঞানী মহল। এই অবস্থাকে বলা হয় “সোলার মিনিমাম”।

“সোলার মিনিমাম”-এর ফলে গুরুতর প্রভাব পড়ে।পৃথিবীতে সূর্য থেকে বিকিরিত হওয়া “কসমিক রে” মহাকাশে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি প্রভাব ফেলবে পৃথিবীর আবহাওয়াতেও। এর ফলে ক্ষতি হবে মহাকাশচারীদের, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এই মহাজাগতিক সংকটের প্রভাব বোঝা না গেলেও শীতপ্রধান অঞ্চলের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ঘটনাতেই চিন্তিত বিজ্ঞানী মহল।