কলকাতাভাইরালসর্বশেষ

খাস কুমোরটুলিতে এবার অবিকল ট্রামের মতো চায়ের দোকান

চায়ের দোকান কে ঘিরে বাঙালির অনেক ধরনের ইমোশন জড়িয়ে থাকে। দৈনন্দিন কর্ম ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সাময়িক বিরতির ঠিকানা একমাত্র চায়ের দোকান। শত চাপের মধ্যেও চায়ের দোকানে বসে চেনা পরিচিত মুখগুলো সাথে কিছু সময় কাটানো মুহূর্তগুলি অত্যন্ত আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। এছাড়া অন্যান্য সময়ের আড্ডা তো আছেই ছুটির দিনে বা অফিসের ছুটির পর সবাই মিলে একসাথে বসে “আড্ডা উইথ চা”, এটা যেন অন্যরকম এক স্বর্গ সুখ।

কুমোরটুলির দিকে কাজের সূত্রে বা অন্যান্য সূত্রে যারা দৈনন্দিন যাতায়াত করেন তাদের কাছে অত্যন্ত একটি পরিচিত মুখ হলো মানিক দা। মানিকদার কুমোরটুলিতে একটি চায়ের দোকান আছে (Kolkata Durga Puja in Corona Situation : Tram shaped tea stall in khas Kumartuli)। দৈনন্দিন যাত্রীদের মধ্যে যারা চা প্রেমী, তারা মানিকদাকে চেনে না এমনটা অসম্ভব। তার হাতে করা চায়ের জাদুই আলাদা। গ্রাহকরা জানিয়েছেন মানিকদার চা খেলে নাকি একটা আলাদাই সুখ পাওয়া যায়।

manik da's tea stall
মানিকদার চা দোকান

তবে এইবার মানিক দা কলকাতার ঐতিহ্য বজায় রাখতে উদ্যোগ নিল (Manik Tea Tea Stall)। কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য গুলির মধ্যে বিশেষ একটি ঐতিহ্য হলো ট্রাম। অবশ্য এখন যান চলাচলে অনেক উন্নতি ঘটেছে ফলে ট্রাম পরিষেবা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার বহু প্রাচীন এই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতেই মানিকদা তার দোকানটিকে পরিবর্তন করে ট্রাম এর আদলে বানাতে চলেছেন। অর্থাৎ গ্রাহকরা এবার থেকে দ্বিগুন সুখ পাবে।

আর কিছুদিনের মধ্যে আসতে চলেছে দুর্গাপুজো। পুজোর প্রাক্কালে এইরকম একটি ব্যবস্থাপনা দেখে যারপরনাই খুশি সাধারণ মানুষ। এখন থেকেই চায়ের দোকানে আড্ডা বেড়ে চলেছে সাধারন মানুষের। সবাই নতুন ভাবে স্থানটিকে পেয়ে যারপরনাই খুশি। আগামী দিনে সাধারণ মানুষের ভিড় এই ভাবেই বাড়বে বলে আশাবাদী মানিকদা।

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।