চীনের দাদাগিরি বন্ধ করতে ভারতে সেনা পাঠাবে আমেরিকা
একটি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেন, “চীনের ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতি আগ্রাসনের প্রধান কারণ মূলত জার্মানিতে সেনা মোতায়েন করা।”
ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে মার্কিন বিদেশ সচিব উল্লেখ করেন, “ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের অবৈধ রণনীতির কারণে ইউরোপ থেকে আমেরিকার সেনা সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস করা হচ্ছে।” লাদাখ সীমান্তে চীনের আগ্রাসী কার্যকলাপ শুরু হওয়ার পরপরই ভারতের সাথে হাত মিলিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেও ব্রাসেলস ফোরামকে বিবৃতি দিয়েছেন, “জার্মানিতে সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনাটি একটি ঠান্ডা মস্তিষ্কপ্রসূত কৌশলের কারণ তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই এনাউন্স করেছিলেন যে, আমেরিকা জার্মানি থেকে মোতায়েন করা সেনার পরিমাণ হ্রাস করবে। আর এই সিদ্ধান্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি ভালোভাবে নেয়নি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপের অর্থ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ভারতের প্রতি এবং ভিয়েতনাম ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মতো দেশগুলোর কাছে দেশটি ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আগেভাগে নিশ্চিত হতে চাই যে আমরা পিএলও’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পরিকল্পিত রণনীতির সাথে সেনা মোতায়েন করেছি। আর স্বভাবতই এটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি। এটা কে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট সরঞ্জাম মজুদ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে যাচ্ছি।”
তিনি ভারতের সাথে সীমান্ত রক্ত ঘাত-প্রতিঘাতের কোথাও উল্লেখ করেছিলেন। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের কাজকর্ম এবং এর শকুনের মতো অর্থনৈতিক নীতির কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউই চীনকে নিয়ে যে জরুরি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে সে ব্যাপারে একটি মিটিং শুরু করবে। আর এই আলোচনা ট্রান্স আটলান্টিক জোটকে তৈরি করার ক্ষেত্রে চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ধারণা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
দুদিক থেকেই চীনের কর্মকাণ্ডের সম্পর্কিত এটা তৈরি করা দরকার যাতে দুজন একত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, ইউরোপ সম্পর্কে বলে অভিযোগ করা হয় এবং তারা চীনের অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রাখেন বলেই বলা হয়।
চীনের এই শিকারি নীতিতে আমেরিকা খুশি নয়। সেইসঙ্গে ভারত চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধের পর ভালোভাবে নিচ্ছে না ট্রাম্পের দেশ। এক্ষেত্রে বলা উচিত যে করোনার ফলে পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলোর কাছ থেকে একঘরে হয়ে রয়েছে চীন। তার ওপর ভারতের প্রতি চীনের এই শকুনি মনোভাব চীনের ভাবমূর্তিকে আরো নষ্ট করে দিয়েছে।
হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।