কলকাতারাজ্যসর্বশেষ

কালজানি নদীর দূষণ রোধে ২২ লক্ষের প্রকল্প ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার

আলিপুরদুয়ার শহরের পাশ থেকে বয়ে গিয়েছে কালজানি নদী। সম্প্রতি এই নদীকে আরো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। শহরের নোংরা জল নদীতে এসে যেখানে মিশেছে সেখানে স্লুইস গেটে বায়ো রেমিডিয়েটরস প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষিত জল শোধন করে তারপর তা নদীতে ফেলার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কাজের দায়িত্ব পাওয়া এজেন্সি সার্ভে করেছে আলিপুরদুয়ার শহরের। সম্প্রতি বৃষ্টির জন্য কাজ স্থগিত রয়েছে। তবে চলতি মাসে বৃষ্টি কমলে কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।

আলিপুরদুয়ার শহরের পলাশবাড়ি, বকরিবাড়ি, শোভাগঞ্জ এই তিনটি জায়গায় বায়ো রেমিডিয়েটরস প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ শুরু করা হবে। তিনটি ধাপে জল নিষ্কাশনের কাজ করা হবে। শহরের বর্জ্য নদীতে পরার আগেই পরিশোধিত হয়ে যাবে এই ধাপে। ফলে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে নদীবক্ষে (WB govt sanctions 22 lakh rupees to reduce the pollution of kaljani river)।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক শ্রী রাজেশ জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পটি পরিবেশ উপযোগী। কাজের দায়িত্ব পাওয়ায় এজেন্সি ইতিমধ্যে এসে পরিস্থিতি দেখে গেছে। বৃষ্টি কমলে এই মাসে কাজ শুরু করা হবে”। আলিপুরদুয়ার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যবহৃত জল কালজানি ও ডিমা নদীতে এসে পরে বারোটি স্লুইস‌ গেট দিয়ে‌। ফলে গোটা শহরের নোংরা আবর্জনা নদীতে মিশে দূষিত হচ্ছে এই দুই নদী। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এবার শহরে নোংরা জলে নদী দূষিত না হয় সেই ব্যবস্থা নিতেই এই প্রকল্প শুরু করল রাজ্য সরকার।

আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা অমল দত্ত জানিয়েছেন, এই বিষয়ে নির্দেশ রয়েছে গ্রিন ট্রাইবুনালের। সেই কারণেই নদীর দূষণ কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এটি অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ কিন্তু শুধুমাত্র তিনটে স্লুইসগেটে এই প্রকল্প ব্যবহার করলে হবে না। সবকটিতেই এই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তার ফলে নদী দূষণ আটকানো যাবে।