চলতি বছরে মহামারীর মধ্যে মা দুর্গার বোধনের কতটা গুরুত্ব ?
করোনা সংকটকালে মা দুর্গার আরাধনায় বিঘ্ন। কর্তৃপক্ষ থেকে পূজোর আয়োজনে অনেক বিধিমালা রয়েছে যেগুলোকে মেনে পুজো করতে হবে। বাঙালির মহা উৎসব, তবে শুধু বাঙালি বলেই নয় এখন সকলের কাছেই এই পুজোর জন্য বিশেষ এক জায়গা রয়েছে (365 Reporter Bangla Mythology : Why awakening is so important in maa Durga Puja)।
ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় মায়ের আরাধনা, এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং অবশেষে দশমী। শাস্ত্র মতে জানা যায়, আশ্বিন মাসে মা দুর্গার পুজো হওয়ার মানে হল মায়ের অকালবোধন। প্রাচীন শাস্ত্র মতে জানা যায় মা দুর্গার পুজোর সময় হল বসন্তকাল। কিন্তু শ্রী রাম মায়ের আরাধনা করেন এই আশ্বিন মাসে তাই মায়ের এইসময় আরাধনা কে অকালবোধন বলা হয়ে থাকে (Lord Rama worships Maa Durga in ashwin)।
ঘট এবং জলভরা তাম্রপাত্র পুজোর জায়গার এক কোণে অবস্থান করানো হয়। তারপরেই মা দুর্গা এবং চণ্ডীর পুজো করার পর বোধন অর্থাৎ মাকে জাগরিত করা হয়ে থাকে।

মা দুর্গার মহা পুজো শুরু হয় এই বোধন দিয়ে। শাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায় রাবণকে বধ করার জন্য রামচন্দ্র কে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা মা দুর্গার বোধন করেছিলেন মাকে জাগ্রত করার জন্য।
প্রাচীন শাস্ত্রমতে সূর্যের উত্তরে গমন করতে সময় লাগে প্রায় ছয় মাস, যা দেবতাদের কাছে হলো এক দিনের সমান। শাস্ত্র অনুযায়ী দেবতাদের সবসময় দিনের বেলা পুজো করা হয়। অন্যদিকে সূর্যের দক্ষিনে গমন করতে সময় লাগে ছয় মাস এবং এই ছয় মাস দেবতাদের কাছে একটা রাতের সমান এবং এই রাতে দেবতারা ঘুমায়। শাস্ত্রমতে আশ্বিন মাসের সূর্য দক্ষিনে গমন করে এবং যেটা একটি রাত্রের সময় দেবতাদের কাছে এবং এই রাতে তারা ঘুমান। যেহেতু এই আশ্বিন মাসে দেবতারা সকলে ঘুমান; সেইজন্য তাদের পুজো দেওয়ার জন্য জাগরিত করতে হয় এই জাগরিত করার জন্য মানেই হলো বোধন।