কোন অপরাধে বাবা হবার ঠিক পরেই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বপ্না চৌধুরী?
সদ্য পিতা-মাতা হয়েছেন স্বপ্না চৌধুরী এবং তার স্বামীর বিরু শাহ। তাদের বিবাহের কথা কেউ জানতেন না। একেবারে গোপনে চুপিসারে বিয়ে করে গোপনে সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেললেন হরিয়ানা র সেনসেশন স্বপ্না চৌধুরী। পুত্র সন্তান জন্ম দেবার পর তাদের বিবাহের কথা সকলে জানতে পেরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে স্বপ্না চৌধুরীর মতো একজন নৃত্যশিল্পীর মা হবার ঘটনা জেনে সকলেই একটু অবাক হয়েছেন (Why dancer Sapna Choudhary files a complaint against her husband Veer Sahu after becoming mom)।
তবে পুত্র সন্তানের হবু বাবাকে ঠিক সাত দিনের মধ্যেই এবার স্বপ্না চৌধুরী পুলিশের মামলা করলো স্বামীর বিরুদ্ধে। কি সেই অভিযোগ? স্বপ্না চৌধুরী স্বামীর অপরাধ হলো বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো রকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনে অনেক লোক জড়ো করেছিলেন তার স্বামী। (keno swamir biruddhe mamla korlen sapna choudhary)

এবার জানতেই হবে কেন এই জমায়েত করা হয়েছিল? আসলে স্বপ্না এবং বীরুর সন্তানের জন্মের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বারবার তাদের ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করা হয়েছিল। প্রত্যেক এই মন্তব্য করেছিলেন যে, সন্তান এসে যাওয়ার কারণে তাদের বিবাহ সাড়তে হয়েছিল গোপনে। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বহুবার সোশ্যাল মিডিয়াতে কথা বলেছেন স্বপ্না চৌধুরীর স্বামী। কিন্তু কোনভাবেই লাভ হয়নি। (Dancer Sapna Choudhary and Veer Sahu secretly marry together. The main reason for this is dancer Sapna becomes pregnant)
সম্প্রতি এক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ায় তাকে ফেসবুক লাইভে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বপ্নার স্বামী। নিজের ভক্তদের সঙ্গে নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন হরিয়ানা তে। কিন্তু সেখানে পুলিশ বাহিনী দেখে সেখান থেকে চলে যান বীরু। (Husband of Sapna challenges a young man and tries to meet with him in Haryana)
কিন্তু এইভাবে কোনরকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বহু লোক জমায়েত করার অপরাধে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্বপ্না চৌধুরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে স্বপ্নাকে বিয়ে করেন বীরু। বিবাহের বিষয়টিকেও ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। বিবাহের ঠিক আগে বীরুর কাকা মারা যাবার কারনে কোন অনুষ্ঠান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সপ্নার মা । তবে যাই হোক না কেন পরিবারের নতুন সদস্য আসার সময় দুই পরিবারের মানুষই যে ভীষন খুশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।