খড়কুটো সিরিয়ালের গুনগুন কি ফিরবে বাপের বাড়ি থেকে ? Khorkuto Serial Gungun
খড়কুটো সিরিয়ালের অনবদ্যভাবে গল্প অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। ডাক্তার বাবুর বাড়ির সামনে হত্যা দিয়ে পড়ে রয়েছে শুধুমাত্র গুনগুনকে মানভঞ্জন করে বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য। আনন্দ এবং অভিমানে ভরা জমজমাট এই সিরিয়াল বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছেন দর্শকেরা। সিরিয়ালটি ফেসবুক পেজে অনেকেই লিখেছেন, এইভাবে চালিয়ে যান। আপনাদের গুনগুনকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন গুনগুন বাপের বাড়ি চলে গেল। সব মিলিয়ে সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্র গুনগুন এখন খবরে শিরোনামে। (Star Jalsha Khorkuto Serial Today Episode Explained : will Gungun Trina Saha return from her father s house )
তবে যাকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সেই গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা আদতে কি ভাবছেন তা নিয়ে তিনি মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তিনি জানান যে,এই চরিত্রটির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত জীবনের মিল আছে। আমি চাই এই ভাবেই আমার অভিমান ভাঙ্গানো হোক। গুনগুন ভীষণ সোজাসাপ্টা একটি মানুষ। কিন্তু মনের দিক থেকে সে আজও কিছুটা অপরিণত। বাবিন পরিণত হলেও তার স্ত্রীর অনুভূতিগুলো সে বুঝতে পারে না। এটি অদ্ভুত জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে এই সম্পর্ক।
সিরিয়ালের পুটু পিসির বিয়েতে তিন্নি দিদির সঙ্গে সামির গান গাওয়া নিয়ে বেজায় চটেছে গুনগুন। তাই রাগ যখন ধীরে ধীরে অভিমানের দিকে এগিয়েছে, ঠিক তখনই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় বাপের বাড়ি গুনগুন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানায় যে, একসময় একে অপরকে ভীষণভাবে অপছন্দ করত গুনগুন এবং তার স্বামী। কিন্তু আজ সৌজন্যে কে ভালবেসে ফেলেছে গুনগুন। কোনদিন স্বামীকে ভালবাসবে গুনগুন তা ভাবতেও পারেনি।
স্বামীকে ভালবাসার ফলে হিংসা কাজ করছে তার মধ্যে। এদিকে সৌজন্যের মধ্যেও কিছু প্রশ্ন উঠেছে যা পরিষ্কার করা খুবই দরকার। পরিবার কি এই অভিমান ভাঙ্গার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে,প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী হেসে জবাব দিয়েছে যে, সৌজন্যের পরিবারকে সকলেই চিনে গেছে এতদিনে। সকলেই জানে যে তারা সমস্যার সমাধান করেই ছাড়বে।
বিশেষ পর্বের শুটিং করতে কেমন লাগছে, প্রশ্নের উত্তর অভিনেত্রী জানান – আমার ভীষণ ভালো লাগে শুটিং করতে। খড়কুটোর গোটা টিম খুবই ভালো। কৌশিক রায় দুর্দান্ত অভিনেতা। আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করি যে এত বড় বড় মানুষদের সাথে আমি কাজ করতে পারছি। অভিনেতা ছাড়াও পরিচালক থেকে আর আমিও করি সকলেই খুবই মিশুক। এটি পরিবারের মতো হয়ে কাজ করি আমরা।
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি জানান – বিয়ে মানে শুধু খাতা-কলমে দুটি মানুষের বিয়ে নয়, বিয়ে মানে দুটি পরিবারের এক হবার একটি মাধ্যম। পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে দুটি মানুষের পথ চলা রীতিমতো কঠিন হয়ে যায়। আমি অন্তত মনে করি যে পরিবারের সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি নিজেও একজন একান্নবর্তী পরিবারের মানুষ। তাই এই কথাটা খুব ভালো করেই বুঝি আমি।
সবশেষে বিয়ের প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন – সংসার খুব ভালো করেই সামলাচ্ছি আমি। কিছুদিনের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি কে নিজের মতো করে নিয়েছি আমি। মনেই হয় না যে বাড়ি থেকে এত দূরে রয়েছি। রিলাইফ এর পাশাপাশি রিয়েল লাইফে ও শ্বশুরবাড়ির একজন খুবই আদরের সদস্য হলে তৃণা সাহা।
