কলকাতাসর্বশেষ

অভাবে‌র জেরে কর্মক্ষেত্রে‌ই চুরি করলেন কর্মচারী, ঘটনাস্থল বড়বাজার

লকডাউনে জেরেই ইতিমধ্যে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। কর্পোরেট অফিস থেকে কারখানা বিভিন্ন জায়গায় কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যাটা চোখে পড়ার মতো। অর্থনীতিবিদরা এ আশঙ্কা করেছিলেন লকডাউনের শুরুতেই। তারা জানাচ্ছেন লকডাউন থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও কর্মস্থলে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। তবে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে নজিরবিহীনভাবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মত অপরাধ বৃদ্ধি পাবে।

সেই আশঙ্কাই সত্যি করে শনিবার একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো বড়বাজারের যমুনালাল বাজারের একটি জামা কাপড়ের দোকান (Worker steals from workplace due to poverty in Jamunalal Bazar Street, Bara Bazar, Kolkata)। দোকানের মালিকের কাছে সম্প্রতি ফোন আসে তাদের অর্ডার দেওয়া জিনিস পত্র সময় মতো নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়নি। এরপরই সন্দেহ হয় দোকান মালিকের। কর্মচারীর সাথে‌ যোগাযোগ করেন।

crisis in Kolkata in lockdown period
কলকাতাতে লকডাউন ক্রাইসিস (প্রতীকী ছবি)

ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য সড়ক পথেই জিনিসপত্র সরবরাহ চলছিল। দোকানের কর্মচারী উত্তম মাহাতোকে (Uttam Mahato) দিয়ে দোকানের মালিক জিনিসপত্র সরবরাহ করতে পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় তিনি অন্য ব্যক্তির কাছে সেই জিনিসপত্র চড়া দামে বিক্রি করেছেন।

ইতিমধ্যে এই তদন্ত শুরু করেছে বড় বাজার থানার পুলিশ। উত্তম মাহাতোকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে শেখ গোরাপদ মন্ডল নামে এক চোরাকারবারির পরিচয়। তিনি চোরাই জিনিস কিনে অন্য ব্যক্তিদের বিক্রি করেছিলেন। সেইসঙ্গে ধরা পড়েছে এই চক্রের আরো দুই পান্ডা মনিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম।

দু জনকে গ্রেপ্তারের পর উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু সামগ্রী। চোরাকারবারি সঙ্গে যুক্ত তিন ব্যক্তির আগে থেকেই পুলিশের খাতায় নাম ছিল। কিন্তু ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা উত্তম মাহাতোর ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঋণ বেড়ে যাওয়ায় চুরির পথকেই তিনি উপযুক্ত মনে করেন। রবিবার চার অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজির করা হয়। ১ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।