বোনের অনলাইন ক্লাস চালু রাখতে নিজের পড়াশোনা বিসর্জন দিলো ক্ষুদে দাদা
Mumbai : পুরনো বাংলা সিনেমা তে আমরা অনেক সময় দেখেছি বড় দাদারা সংসারের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ছোট ভাই বোনের মুখে হাসি ফোটায়। কিন্তু বাস্তব জীবন থেকেই যে নেওয়া হয় সিনেমার স্ক্রিপ্ট, তা আবারো প্রমাণ হয়ে যায় কিছু ঘটনা থেকে। মুম্বাইয়ের ভিন্ডি বাজার এলাকায় এমনই একটি ছেলের খোঁজ পাওয়া গেল। তার নাম সুভান।মাত্র ১৪ বছরের এই ছেলে পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য চা বিক্রি করতে শুরু করে দিয়েছে। (Mumbai, Bhindi Bazar News : young brother gives up studies to his sister’s online class)
ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছে সুভান। কিন্তু তার মা কখনো তাকে বাবা হারা সন্তানের যে কি কষ্ট বিন্দুমাত্র বুঝতে দেয়নি। দিনরাত পরিশ্রম করে তিনি দুই ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন কোন রকমে। কিন্তু চলতি বছরে মহামারীর প্রকোপ তাদের সেই আনন্দে বাধা হয়ে দাড়ালো।
সুভানের মা একটি স্কুল বাসে কাজ করতেন। সেখানে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে যা রোজগার হত তাতেই সংসার চলে যেত তাদের। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে প্রত্যেকটি স্কুল বন্ধ। তার সঙ্গে বন্ধ স্কুল বাস।তাই রোজগারের একমাত্র পথ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পায় দিশেহারা হয়ে পড়ে সুভনের মা।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও একেবারেই ভেঙে পড়েনি সুভান। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের সংসারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে সে। মা এবং বোনের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য আপাতত লেখাপড়া বন্ধ রেখেছে সে। তার জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য, যে করে হোক বোনের অনলাইন ক্লাস চালু রাখতে হবে।
মা এবং বোন যাতে ভালো থাকে তার জন্য রাস্তার ধারে চা বিক্রি করে সে। মুম্বাইয়ের ভেন্ডি বাজার এলাকায় রাস্তার ধারে চা তৈরি করে পৌঁছে দেয় দোকানে দোকানে। পথচলতি বিভিন্ন মানুষকে অনুরোধ করে চা খাবার জন্য। এভাবেই এই ছোট্ট ছেলেটি তার সংসার চালাচ্ছে।(Suvan tea stall in Bhindi Bazar Mumbai)
এক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় যে, সারাদিন চা বিক্রি করে তার দিনে রোজগার হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।ব্যবসার জন্য টাকা রেখে বাকিটা সে তুলে দেয় মায়ের হাতে।বোনের লেখাপড়া চালিয়ে যাবার জন্য এবং মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সে কোন চেষ্টার ত্রুটি রাখে না। ব্যবসা ঠিকঠাক ভাবে চালিয়ে ভবিষ্যতে নিজেও পড়াশোনা করার ইচ্ছা রেখেছে সুভান। (bon er online pora chalu rakhte nijer porasuna bisorjon dilo khude dada)