কর্মসংস্থানরাজ্যসর্বশেষ

দীঘায় তৈরি হতে চলেছে জিও হাব, বাড়বে কর্মসংস্থান

শীঘ্রই দীঘাতে হতে চলেছে বিশাল জিও হাব (Jio hub will be made on digha, West Bengal, employment may increase)। যার ফলে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি গ্রাহকের ডেটা স্পিড বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে জিও-র তরফ থেকে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দীঘায় জিওর এই হাব তৈরি হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত সাইবার কোম্পানির জন্য এটি খুবই সুবিধাজনক হবে।

হাই স্পিড ডেটা কানেকশন ও ডেটা ট্রান্সফারের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দীঘাতে এই ল্যান্ডিং স্টেশন গড়ে তুলছে জিও। এর আগে ভারতের চেন্নাই, মুম্বাই-তে ল্যান্ডিং স্টেশন বানিয়েছে জিও ইন্ডিয়া। এবার সেই সারিতে নাম লিখিয়ে ফেললো বাংলা।

জিও হাব তৈরির এই প্রকল্পে মুকেশ আম্বানির সংস্থার তরফে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, দীঘায় জিও হাব তৈরি হলে ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবেলড সার্ভিসেস হাব গড়ে তোলার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলা।

এই ঘোষণার পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলা তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেখছেন অনেকেই। এই মুহূর্তে বাংলায় ক্রমশ বেড়ে যাওয়া বেকারত্বের যন্ত্রণা চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। অনেকেই রোজগারের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যে এরকম একটি হাব তৈরি হলে রাজ্যবাসী নিজের রাজ‍্যে থেকে কাজ করতে পারবে বলে মতপোষণ করেছে বিভিন্ন মহল।

অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি যখন নানা সমস্যায় জেরবার। তখন জিও-র গ্রাহক সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। শুধু মে মাসেই ৩৭ লক্ষের বেশি নতুন গ্রাহক পেয়েছে জিও। অন্যদিকে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রিচার্জ প্ল‍্যানের দাম বাড়াতে হয়েছে এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মত টেলিকম সংস্থাকে। সেদিক থেকে বলা যায়, দীঘায় এই নতুন জিও হাব তৈরি হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রাহকরাও উপকৃত হবেন।