টেকনোলজিসর্বশেষ

পৃথিবীর কক্ষপথে নতুন চাঁদ, আকারে জলহস্তীর থেকে সামান্য ছোট

সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহেরই একাধিক চাঁদ বা উপগ্রহ রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর একটি উপগ্রহ। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন কিছুদিনের অতিথি হয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের ঢুকে পড়েছে একটি গ্রহাণু। এর নাম ২০২০সিডিথ্রি (The New Moon-2020CD3)। তবে এই গ্রহাণু চিরকাল পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে না। কিছুদিনের জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে সে ঢুকে পড়েছে (365 Reporter Bangla Technology News: The new moon in Earth’s orbit; slightly smaller in size than the hippopotamus)।

২০২০সিডিথ্রি-এর ব্যাস ১.৯ মিটার থেকে ৩.৫ মিটারের মধ‍্যে‌। এটি আকারে একটি গরুর চেয়ে সামান্য বড় এবং একটি জলহস্তীর চেয়ে সামান্য ছোট। আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন মাইনর প্লানেট সেন্টার থেকে প্রথম টেলিস্কোপে দেখা যায় এই ছোট চাঁদকে। সৌরজগতের গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, নামকরণ ইত্যাদির দায়িত্ব পালন করে এই আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন মাইনর প্লানেট সেন্টার।

আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন মাইনর প্লানেট সেন্টারের এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ক্যাসপার ইউজখোর্স সম্প্রতি ট্যুইট করে এই গ্রহাণুর আগমনের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে দলের সদস্য ক‍্যাসপার এবং তার সহকর্মীরা ১৫ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটির খোঁজ পেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, এ ধরনের লক্ষ লক্ষ গ্রহাণু মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে পৃথিবীর কক্ষপথে চলে আসার ঘটনা এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। এর আগে ২০০৬ সালে আরএইচ১২০ নামের একটি গ্রহাণু কিছুদিনের জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে অতিথি হয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিল। সেটিও ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের মিলিত শক্তিতে অন‍্য গ্রহাণুর কক্ষপথে চলে আসার ঘটনা ঘটে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, গত তিন বছর ধরে ২০২০সিডিথ্রি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। ২০২১ সালের মে মাসে এই গ্রহাণু কক্ষপথ বদল করবে। আগামী বছর পৃথিবীর আরো কাছাকাছি চলে আসবে এই গ্রহাণুটি।

নাসার সেন্টার নিয়ার আর্থ অবজেক্ট এই গ্রহাণুকে মহাজাগতিক বস্তু বলে মনে করছেন না। সেখানকার বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন এটি সম্ভবত ১৯৬০-এর দশকের পুরনো কোনো বুস্টার রকেট।