বাড়িতে রান্নার গ্যাস থাকলে এই ৯টি নিয়ম মানুন
আমরা খবরে মাঝেমধ্যেই শুনতে পাই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত কিংবা নিহত হয়েছে। তাছাড়া আমাদের সবাইকেই রান্নাবান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতেই হবে। তাই এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা করা যাবে না। কিছু সতর্কতাঃ আমাদের কে গ্যাস দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই নয়টি সতর্কতাঃ। আর এভাবেই আপনি গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।
১.গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে একটি রাবারের পাইপ থাকে। এই পাইপটিতে বিএসটিআই ছাপ আছে নাকি তা পরীক্ষা করুন।
২.গ্যাসের পাইপ লম্বায় এক থেকে দেড় ফুটের অধিক যেন না হয়।
৩. রেগুলেটর এর নজেল যাতে তারা ভালো করে কাভার করা থাকে সেদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখবেন।
৪. গরম বার্নারের সাথে গ্যাসের পাইপ যেন কোনক্রমেই স্পর্শ করে না থাকে।
৫. মাঝে মাঝেই জলে ভেজা কাপড় দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ধোয়ামোছা করবেন।
৬. দু’বছর পর পর গ্যাসের পাইপ পাল্টান।
৭. আপনি যদি মনে করেন গ্যাস লিক হচ্ছে তাহলে বাড়ির সমস্ত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিন। এরপর ওভেন রেগুলেটর বন্ধ করে দরজা জানালা খুলে দিন। এরপর আপনার গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর এর অফিস বা হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন।
৮. আপনি সিলিন্ডার থেকে রেগুলেটর পৃথক করে দিয়ে সিলিন্ডারের মুখে সেফটি ক্যাপ পরিয়ে দিতে পারেন।
৯. আপনি যদি একই ঘরে দুটি সিলিন্ডার( অর্থাৎ যাদের ডবল সিলিন্ডার আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য) রাখতে চান তাহলে 10 বর্গফুট জায়গা দরকার।
এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস আছে কিনা তা অনেকে ঝাঁকি দিয়ে পরীক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরকম কখনোই করবেন না। এক বিশেষজ্ঞের মতে, সিলিন্ডারের মধ্যে কতটা গ্যাস আছে তা বোঝার জন্য প্রথমে ভেজা কাপড় দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারকে ভালো করে মুছুন। এর দু তিন মিনিট পরে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন সিলিন্ডারের কিছুটা অংশ শুকিয়েছে আর বাকি অংশ ভেজাই রয়েছে। এবার যে অংশটা ভিজে রয়েছে বা শুকাতে দেরি লাগছে সেই জায়গা অব্দি পর্যন্ত গ্যাস রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।