টিক টক ভিডিও: টিকটকে নৃত্যের ভিডিও দিয়ে প্রচুর টাকার জরিমানা খেলো মিশরীয় সুন্দরী
আপনারা যারা এই পোষ্টের শিরোনাম টি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গিয়েছেন। নৃত্যের ভিডিও (dance video) সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়ার জন্য জরিমানা? হ্যাঁ আপনারা ঠিকই শুনেছেন। এরকম একটি কাণ্ড ঘটে গেল ইজিপ্টে (Egypt)। সেই স্থানের কোর্ট 5 জন সুন্দরী কে দুই বছর যাবত জেল ও প্রচুর টাকার ফাইন করেছে। তবে তারা যে নাচ গুলো পোস্ট করেছিলো সেগুলোর কোনটাই অশ্লীল ছিলনা। তবে কি এমন ঘটল যে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হলো? চলুন আমরা পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে জেনে নেই। চলুন আপনারাও দেখে নিন সেই ভিডিও গুলি:
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে মিশর দেশটিতে সেরকমভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। সরকারের থেকে প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে ব্যক্তি স্বাধীনতা অত্যন্ত কম। এই একই কারণে আপনার ইচ্ছা হলেও আপনার সমস্ত কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে লোকের সাথে শেয়ার করতে পারবেন না। তাছাড়া আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভ কিছু কাজ বাজ লোকের সাথে শেয়ার করতে পারবেন না। জানা গেল মিশরের আদালত তিন লক্ষ পাউন্ড (ভারতের টাকায় 14 লাখ টাকা) ফাইন ধার্য করেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে টিকটকের নাচের ভিডিও আপলোড করার জন্য।
আদালত থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের এই ভিডিওগুলি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। এর ফলে সমাজের পরিবেশ খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। ফলে তাদেরকে শাস্তি ও জরিমানা ধার্য করা হলো। মিশরের একজন সরকারি পক্ষের উকিল এই বিষয়ে তার নিজের মতামত ব্যক্ত করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই নাচগুলো নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলছে:
১. এগুলি পারিবারিক মূল্যবোধের বিপক্ষে।
২. ওই নাচ পরিবারের নিয়ম কানুন কে লংঘন করছে।
৩. এর মাধ্যমে সংবেদনশীল অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
৪. আর এগুলি অনেকটা মানব পাচার প্রচার এর মত বিষয়।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন হানিম এবং মওয়দা (Mawada Eladhm) গাড়ির মধ্যে মেকাপের পোজ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া তারা রান্নার ঘরের মধ্যেও নাচ করে থাকেন। আর এইসব ভিডিওর মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণে জনপ্রিয়। তবে ভুল খবর পরিবেশনের দায়ে তাদেরকে জেল দেওয়া হতে পারে বলে শোনা গেল। তারা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করেছে। আর মিশরের মতো দেশে এসব জিনিস কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হয় না।
অবশ্য এই ব্যাপারটি সবার মধ্যে জানাজানি হওয়ার পর তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকের মত অনুযায়ী ওই মেয়েগুলো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আর সেই কারণেই সরকার ওদের দিকে অন্যায় ভাবে আক্রমণ করছে। হিউম্যান রাইটসের উকিল তারেক আল আওয়াদি ব্যক্ত করেছেন,”এই গ্রেপ্তার স্পষ্ট করে বলে দেয় কি প্রকারে এক রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় মানুষকে কন্ট্রোল করতে চায়।”