অপরাধকলকাতাখবরসর্বশেষ

র‌্যাগিং এর নামে, অকথ্য অত্যাচারের শিকার বেলঘড়িয়ার কিশোর শ্যাম – Shyam Kumar Mahata Ragging Case, Belgharia

র‌্যাগিং এর কথা এর আগেও আমরা বহুবার শুনেছি। কিভাবে নিমেষে শেষ হয়ে যেতে পারে একটি জীবন, তা টিভির পর্দায় হোক অথবা বাস্তবে আমরা বহুবার দেখেছি। এমনই আরো একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো বিশাখাপত্তনমে। সিনিয়রদের হোমওয়ার্ক না করে দেওয়ার অপরাধে অত্যাচার এবং মারধর। ভিন রাজ্যে পড়তে গিয়ে বেলঘড়িয়ার একজন কিশোরকে শিকার হতে হল অমানবিক অত্যাচারের। ইতিমধ্যেই বিশাখাপত্তনম থেকে নির্যাতিত ছেলেকে আনবার জন্য বেরিয়ে পড়েছেন বাবা। বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা। (Belgharia boy Shyam Kumar Mahata faces ragging in Visakhapatnam college)

ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনমে। কিশোরের নাম শ্যাম কুমার মাহাতো। একাদশ শ্রেণির ছাত্র কে অনেক আশা নিয়ে বিশাখাপত্তনমে পড়তে পাঠিয়েছিল তার বাবা-মা। অন্য আরো সমস্ত বাবা মায়ের মতো তাদেরও স্বপ্ন ছিল, ছেলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বড় অফিসার হবে। কিন্তু তা আর হলো না। (Ragging er naame akathya ottachar er sikar Belgharia r chatro)

পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, ভোর পাঁচটায় যখন হোস্টেলে ঘুমোচ্ছিল শ্যাম। তখন তার ঘরে ঢুকে পরে ৫০ জন সিনিয়র ছাত্র। ঘুমন্ত অবস্থায় বীভৎস মারধর করে কিশোরকে। শুধু একবার নয় ঘণ্টা খানেক বাদে এই ঘটনা আরো একবার হয়। বারবার আচমকা হামলার ফলে শ্যামের মাথায় আঘাত লেগেছে, সঙ্গে ছিড়ে গেছে শিরাও।

ঘটনার পর স্বামীর বন্ধুরা রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুর ছবি তুলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেয়। ছেলের এরকম অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে কলেজ এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় তার বাবা। সিনিয়রদের হোমওয়ার্ক করে না দেবার জন্য এইরকম অকথ্য অত্যাচার এর শিকার হতে হল ওই কিশোরকে।

শ্যাম কুমার মাহাতোর বাবা দাবি করেছেন, ঘটনাটি প্রথমে জানার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ফোন সুইচড অফ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এরপর বিশাখাপত্তনমের একটি হাসপাতালে ভর্তি হবার খবর পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন শ্যামের বাবা। শ্যামের বাবা পৌঁছানোর পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত আট পড়ুয়াকে বহিষ্কারও করা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে। তবে আপাতত শ্যাম এর শারীরিক অবস্থা খুব ভালো নয় বলেই জানা গেছে।