রক্তের বন্ধন, করোনা রোগাক্রান্ত মাতার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত হাসপাতাল জানালায় কাটিয়ে দিল ছেলে

করোনা রোগ ভারত তথা গোটা বিশ্বকে নাজেহাল করে দিয়েছে। হাজারে হাজারে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে মৃতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা প্রচন্ড পরিমাণে চেষ্টা করছেন এর নিরাময় বের করতে। কিন্তু কোনোভাবেই সফল হচ্ছেন না। এর ফলে আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত।

এটা এমনই একটা ছোঁয়াচে রোগ যে দেখা হবার মত কোন পদ্ধতি ও থাকছে না। এমন কি রোগে আক্রান্ত বা মৃত আত্মীয়কেও দেখার কোন উপায় নেই। কিন্তু রক্তের বাঁধন সমস্ত কিছু থেকে আলাদা। এর প্রমাণ আমরা বহুবার দেখেছি। এই টান কে অতিক্রম করা দুঃসাধ্য। আর এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে গেল গোটা পৃথিবী পুনরায়।

আর এই ব্যাপারটি হয়েছে প্যালেস্টাইনে। দুঃখজনক এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। আর এই ছবি দেখে পৃথিবীর প্রত্যেকের হৃদয়ের হার্টবিট বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই ফটোটির সত্য মিথ্যা প্রমাণ করতে গিয়ে জানা গেল একটা হাসপাতলে কয়েক তলা উপরে কাচের দেয়াল এর সাইডে ভিতরের দিকে চোখ মেলে বসে আছেন এক লোক। তার বয়স অল্পই। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন হবে হাসপাতালে জানালার ধারে বসে আছেন ওই ব্যক্তি? উত্তর বের করতে গিয়েই এসে গেল অবাক করা ঘটনা।

জানা গেল যুবকের নাম জিহাদ আল সুয়াইতি। ওর বয়স মাত্র 30 বছর। ওই যুবকের মা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতলে ভর্তি। আর এই সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি থাকায় মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি পায়নি ছেলে।তাই সে জানলার ধারে বসে রয়েছে।

তার মায়ের জীবনের অবশিষ্ট সময়ে তার মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চায়নি। জানালার বাইরে থেকেই প্রত্যক্ষ করেছে মায়ের মৃত্যু। যতদিন পর্যন্ত তার মা হাসপাতালে ছিলেন ততদিন প্রতি রাত্রে ওই জানালার পাশে সময় কাটাতেন যুবক। আর এই ব্যাপারটির ছবিটি শেয়ার করে দিয়েছেন মোহাম্মদ সাফা নামে এক ব্যক্তি।

তিনি লিখেছেন, “করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়া ওই যুবকের মায়ের পূর্বে থেকেই লিউকেমিয়া রোগ ছিল। তাকে 5 দিন হসপিটালে রাখা হয়েছিল। ওই ছেলেটি পরে বলেছে, আমি অসহায় বোধ করতাম। তাই হাসপাতালে জানালার পাশে বসে মাকে দেখতাম। মা-ই আমার কাছে সব‌।”

হাই বন্ধুরা, প্রতিদিনের গুরুত্বপূ্র্ণ খবর পাওয়ার জন্য bangla.365reporter বুকমার্ক করে রাখুন। আর ফেইসবুক, টুইটার এবং পিন্টারেস্টে আমাদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *