খবরজীবনযাত্রাসর্বশেষ

ছট পুজোতে যদি মানতে পারেন এই সব নিয়ম, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার জীবনে আসবে সুখ এবং শান্তি

চলতি বছরে করোনা’র জন্য আমাদের সমস্ত পূজা-পার্বণ জৌলুসহীন ভাবে পালন করতে হয়েছিল। সম্প্রতি খুবই সাদামাটা ভাবে পালিত হলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা।দূর্গা পূজার পর লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে আমরা এগোচ্ছি কালীপুজো র দিকে। তবে কালী পূজার মধ্যে পালিত হয় আরো দুটি উৎসব, ধনতেরাস এবং ছট পুজো। এই ছট পূজা মূলত পালিত হয় অবাঙালিদের মধ্যে।এই পুজো তারা সূর্য দেবতার আরাধনা করে পালন করেন। কঠোর নিয়ম নিষ্ঠা পালন করে অবাঙালিরা সূর্যদেবের কাছে পরিবারে সুখ এবং শান্তির জন্য কামনা করেন। (365 Reporter Bangla Mythology : If you follow these rules in Chhath Puja, peace and happiness will come to your life)

অন্যান্য পূজার মতো খুব সহজ ভাবে পালিত হয় না এই ছট পুজো। এই পুজো পালিত হয় অনেক কঠোর নিয়মের হাত ধরে। শুধুমাত্র ছট পুজো করেই পূণ্য অর্জন করা যায় না। কিছু বিশেষ নিয়ম না মেনে চললে এই পুজোতে পুণ্যার্জন করা সম্ভব নয়। আপনিও যদি সঠিকভাবে মানতে পারেন কিছু নিয়ম, তাহলে অচিরেই আপনার সংসার গড়ে উঠবে সুখে এবং সমৃদ্ধিতে।

দূর্গা পূজার মত চার দিন ধরে পালন করা হয় ছট পুজো। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন অর্ঘ্য, এবং চতুর্থ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজো র রীতিনীতি অন্যান্য পুজোর থেকে অনেকটাই কঠিন এবং একই সঙ্গে আলাদা। বিশেষত সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর ভাবে পালন করতে হয় এই রীতি নীতি।সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য আরও একটি উৎসব অবাঙ্গালীদের মধ্যে পালিত হয় তাহলে করবা চৌথ।

তবে নিয়ম কানুন যতই কঠিন হোক না কেন, প্রতিবছর সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য ছটের ডালা সাজান ভক্তরা। এরপর আসে সেই দিন।মূলত উৎসবের দিন সকালবেলা স্নান করে পরিষ্কার কাপড় জামা পড়ে রান্না করেন বাড়ির মহিলারা। এই দিন দুপুর বেলা তারা লাউ আর ভাত খান। অর্থাৎ শুধুমাত্র ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি দিয়ে আহার সারেন তারা। তবে সেই সমস্ত রান্নাতে তারা ব্যবহার করেন না কোনো নুন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আরো গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি সারা দিন উপবাস পালন করেন। ওই দিন সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করেন মহিলারা। উপাচার হিসেবে দেওয়া হয় ক্ষীর, রুটি এবং কলা। এরপর মূল উপকরণ ঠেকুটা বানানোর কাজ শুরু করেন বাড়ির মহিলারা। এই উপকরণটি শুধুমাত্র অবাঙালি নয়,বাঙ্গালীদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয় একটি খাবার।

উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এরপর বিকেলে কোন নদীর ধারে গিয়ে ডুবন্ত সূর্য কে দেখে পুজো করতে হয়। পুজো হয়ে যাবার পর সেই প্রদীপ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এই ছট ভপুজোর ডালা তে ফল ছাড়াও থাকে মূল উপকরণ ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য উদয় হওয়ার আগে বাড়ির মহিলারা আবার চলে যান নদীতে। সেখানে অর্ঘ্য দিয়ে তবে এই পুজো শেষ করতে হয়। পুজো শেষ হবার পর সেই সন্ধ্যে থেকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা শুধু মাত্র ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙ্গেন মহিলারা। এই ভাবে কঠোর নিয়মের মধ্যে পালিত হয় ছট পুজো। (Chhath Pujar niyom. Ei vabe puja korle apnar jibone sukh ebong shanti asbe)

follow these rules in chhath puja peace and happiness will come to your life
ছট পুজোতে যদি মানতে পারেন এই সব নিয়ম, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার জীবনে আসবে সুখ এবং শান্তি (Collected from Internet)

Surajit Joarder

৩৬৫ রিপোর্টার বাংলা ওয়েবসাইট এর অ্যাডমিন। আমি বিনোদন সম্পর্কিত টপিক ভীষণ ভালোবাসি। তাই আমি মেইনলি মুভি, ওয়েব সিরিজ, সিরিয়াল নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি।